১১ বার টিকা নিয়েও অধরা, দ্বাদশবার নিতে এসে নজরে পড়লেন স্বাস্থ্যকর্মীদের
এখনও কিছু মানুষকে একবার টিকা নেওয়াতেও সরকারের কালঘাম ছুটছে, আর সেখানে ১১ বার করোনা প্রতিষেধক টিকা নিয়ে ফেলেছেন বলে দাবি করলেন এক ব্যক্তি।
টিকা নিতে আসা বছর ৮৪-র বৃদ্ধকে দেখে সন্দেহ হয় এক স্বাস্থ্যকর্মীর। তিনি বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেন। কারণ ওই বৃদ্ধকে এর আগেও তিনি টিকা নিতে দেখেছেন।
বৃদ্ধ কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদ করায় কিছু গোপন করেননি। তিনি দাবি করেন এর আগে তিনি ১১ বার করোনা প্রতিষেধক টিকা নিয়ে ফেলেছেন। এবার এসেছিলেন দ্বাদশ টিকা গ্রহণ করতে। কিন্তু এবার আর লুকিয়ে টিকা নেওয়া হল না। ধরা পড়ে গেলেন।
এও সম্ভব! সরকারের চোখে ধুলো দিয়ে এভাবে দিনের পর দিন টিকা নিয়ে চলেছেন এক বৃদ্ধ। অথচ কোনওভাবে তা নজরে এল না এতদিন!
পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মাধেপুরা জেলায়। কিন্তু কেন এভাবে দিনের পর দিন করোনা প্রতিষেধক টিকা নিয়ে বেড়াতেন প্রাক্তন ডাককর্মী ব্রহ্মদেব মণ্ডল? কীভাবেই বা নিতেন? সবই পরিস্কার করেছেন ওই বৃদ্ধ।
বৃদ্ধ ব্রহ্মদেবের দাবি, তিনি নানা ফোন নম্বর ব্যবহার করে টিকা নিয়েছেন বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে। এমনও হয়েছে পরপর ২ দিন তিনি ২টি টিকা নিয়েছেন।
তাঁর দাবি, এত টিকা নেওয়ার কারণ রয়েছে। প্রথমবার যখন তিনি করোনা প্রতিষেধক টিকা নেন, তখনই তিনি অনুভব করেন যে টিকা গ্রহণের পর তাঁর হাঁটুর ব্যথা এবং পিঠের ব্যথা অনেকটা কমে গেছে।
তাঁর ধারনা করোনা প্রতিষেধক টিকা নিয়ে তিনি ব্যথামুক্ত হতে পেরেছেন। যে ব্যথা নাকি অন্য চিকিৎসকেরা সারাতে পারছিলেন না।
ইতিমধ্যেই তাঁর এই বিচিত্র দাবি খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকেরা। প্রসঙ্গত ভারতে ২টির বেশি করোনা প্রতিষেধক টিকা নেওয়া সরকার অনুমোদিত নয়।