পরীক্ষা শুরু হতেই মোবাইল ফোন গিলে ফেলল বন্দি
আস্ত একটা মোবাইল ফোন গিলে ফেলল এক বন্দি। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মোবাইল ফোন তাদের হাতে আসছে কোথা থেকে তাও পরিস্কার হয়েছে কদিনে।
কোনও সংশোধনাগারেই মোবাইল ফোন বন্দিদের হাতে থাকা নিষিদ্ধ। গারদের পিছনে থাকা কোনও বন্দির হাতেই মোবাইল ফোন যেতে পারেনা। তবু যাচ্ছিল।
দিল্লির তিহার জেলকে অন্যতম সুরক্ষিত জেল বলেই জানেন সকলে। সেখানেই কিন্তু মোবাইল ও অন্য বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম নিশ্চিন্তে পৌঁছে যাচ্ছিল বন্দিদের হাতে।
কীভাবে তা নিয়ে খোঁজ শুরু হতে জানা যায় এর পিছনে রয়েছেন জেলের আধিকারিকরা। গত ৬ মাসে ৪০ জন এমন আধিকারিকের খোঁজ পায় তদন্তকারী সংস্থা। জেলের মধ্যে কার কাছে কি রয়েছে তারও জোরদার খোঁজ শুরু হয়।
গত ৫ জানুয়ারি ১ নম্বর জেলে বন্দি এক ব্যক্তিকে সন্দেহ হওয়ায় কারারক্ষীরা তাকে পরীক্ষা করতে যান। তখনই সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনটি কোথাও লুকোতে না পেরে সে সটান গিলে ফেলে।
পেটে যাওয়ার পর মোবাইল ফোনের কারণে তার শারীরিক সমস্যা শুরু হয়। তাকে দীনদয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আপাতত সুস্থ থাকলেও তার পেটেই রয়েছে মোবাইল ফোনটি। সেটি কীভাবে বার করা যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন চিকিৎসকেরা।
তিহারের সুরক্ষা বন্দোবস্তকে ঢেলে সাজাতে বেশকিছু পদক্ষেপও নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সেখানে ২টি এক্স-রে নির্ভর মানবশরীর স্ক্যান করার যন্ত্র বসানো হচ্ছে।
এতে কারও কাছে কিছু কোনওভাবে লুকোনো থাকলে তা ধরা পড়ে যাবে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সুরক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাচ্ছে তিহার কর্তৃপক্ষ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা