এই মরসুমে প্রথমবার বরফে মাখামাখি পাহাড়ের রানি
চারধারে তুষারপাত চলছিল। তুষারপাত চলছিল অপেক্ষাকৃত পার্বত্য অঞ্চলে। কিন্তু পাহাড়ের রানিই গায়ে তুষার মাখেনি। অবশেষে শনিবার বরফে মাখামাখি হল সে।
প্রবল তুষারপাত চলছে জম্মু কাশ্মীরে। তুষারপাতে মুখ ঢেকেছে হিমাচল প্রদেশের পার্বত্য অঞ্চল। এমনকি দার্জিলিং সহ আশপাশেও বরফ পড়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও বরফের স্পর্শ না পেয়ে কিছুটা শুকনো সময় কাটাচ্ছিল পাহাড়ের রানি।
অনেক পর্যটক এই সময় হাজির হন এখানে। অপেক্ষায় থাকেন তুষারে ঢাকা সিমলাকে উপভোগ করার জন্য। তুষার গায়ে মেখে তাঁরাও আনন্দে খেলায় মেতে উঠেন।
কিন্তু এতদিন ধরে পাহাড়ের রানি বলে পরিচিত সিমলা শহরে তুষারপাত হয়নি। সিমলারই পার্বত্য অঞ্চলে তুষারপাত হয়েছে। কিন্তু খোদ সিমলা শহর ছিল বরফ শূন্য। অবশেষে সেই হতাশা কাটল। সিমলা মুখ ঢাকল বরফে। মরসুমের প্রথম তুষারপাত হল সিমলায়।
হিমাচল প্রদেশের এই অতিপরিচিত শহর পর্যটনের জন্যই বিখ্যাত। শীতের দিনেও এখানে মানুষ ভিড় জমান এই আশায় যে এখানে তুষারপাত পাবেন তাঁরা।
কিন্তু এবার কিছুতেই তুষারপাত হচ্ছিল না সিমলায়। দেরি হচ্ছিল। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান হল। সিমলায় তুষারপাত দেরিতে হলেও হল শনিবার।
যেখানেই তুষারপাত হোক না কেন, সিমলায় তুষারপাত না হলে যেন কি যেন ফাঁকা ফাঁকা থেকে যায়। এদিন সিমলা ছাড়াও তুষারপাতে ছবির মত সুন্দর হয়ে উঠেছে কুফরি ও নারকান্দা।
ব্রিটিশ ভারতের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী হিসাবে পরিচিত সিমলায় এদিন পারদ নেমেছে ০.২ ডিগ্রিতে। মোট তুষারপাতের পরিমাণ ১৪.৬ সেন্টিমিটার। সিমলা শহরে এই তুষারপাত আরও ২-৩ দিন বজায় থাকবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা