আপনি বাঁচলে তত্ত্ব মেনে সিঁদুরে মেঘেই বাড়িমুখো শ্রমিকরা
শ্রমিকরা ফের ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন প্রান্তে ফেরার জন্য। নিজেদের বাড়ি ফেরার জন্য। তাঁদের চোখে বাঁচলে ঠিকই একটা না একটা কাজ জুটে যাবে।
বাস টার্মিনাস থেকে শুরু করে ট্রেন স্টেশন। জানুয়ারির শুরু থেকেই ক্রমশ ভিড়টা বাড়ছিল। আর তা বেড়েই চলেছে।
গত ২০২০ সালের মার্চের শেষ থেকে শুরু করে প্রায় ৩ মাস ধরে বহু পরিশ্রমে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। পরিবার নিয়ে, দুধের শিশুকে কোলে নিয়ে এপ্রিল থেকে জুনের পিচ গলানো গরমের মধ্যেই তাঁরা পায়ে হেঁটে পৌঁছনোর চেষ্টা করেছিলেন ভিন রাজ্যে তাঁদের গ্রামে।
এ পথ কেউ অমানুষিক কষ্ট সহ্য করে পৌঁছেছিলেন। কেউ মাঝপথে প্রাণও হারিয়েছিলেন। সে স্মৃতি এখনও তাজা।
ফের পরিস্থিতির উন্নতি হলে অনেক পরিযায়ী শ্রমিক ফের ফিরেছিলেন কাজে। খোদ দিল্লিতেই হাজার হাজার শ্রমিক ফিরে এসেছিলেন। এবার আবার তাঁরা বাড়ি ফেরা শুরু করেছেন।
দিল্লিতে এখন সপ্তাহান্তে সব কিছু বন্ধ থাকছে। স্তব্ধ হচ্ছে জনজীবন। সংক্রমণ কাঁটায় এই পরিস্থিতি যদি আরও শোচনীয় হয় সেজন্য আগেভাগেই বাড়িমুখো শ্রমিকরা।
আর তাঁরা গতবারের মত দুর্বিষহ পরিস্থিতির মুখে পড়তে রাজি নন। সে সময় আচমকা সব স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। কাজ হারিয়ে কার্যত পথে বসতে হয়েছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের।
পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার পয়সাও তাঁদের পকেটে ছিলনা। সেই অবস্থা তৈরি হওয়ার আগেই তাই তাঁরা ফিরতে চাইছেন।
তাই প্রতিদিনই বাস বা ট্রেন ধরতে উপচে পড়ছে ভিড়। সকলের মুখেই এক কথা, গতবারের মত পরিস্থিতির শিকার হতে তাঁরা আর রাজি নন।
যদি পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয় তাহলে তো সেই স্তব্ধ জনজীবনই অপেক্ষা করছে। তাই সেই অবস্থার আগেই বাড়ি ফিরবেন তাঁরা। কাজ একটা গেলে আরও একটা জুটিয়ে নিতে পারবেন, কিন্তু প্রাণ গেলে আর ফেরত আসবে না বলেই মত তাঁদের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা