সেনাকে রক্ষায় স্মার্ট তাঁবু, অনন্য আবিষ্কারের খবর গেল প্রধানমন্ত্রীর কাছে
প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে লড়ে ওত পেতে থাকা শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে অতন্দ্র প্রহরায় থাকেন সেনাকর্মীরা। তাঁদের সেকাজ অনেকটা সহজ করতে স্মার্ট তাঁবু আবিষ্কার করলেন এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র।
সেনাবাহিনীর জওয়ান থেকে আধিকারিকরা অনেক প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করে দেশকে সুরক্ষিত রাখেন। তাই তাঁদের সুরক্ষিত রাখা দেশের সকলের কর্তব্য। সেই কাজ করার চেষ্টা করলেন এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র। আবিষ্কার করলেন একাধিক সুবিধাযুক্ত স্মার্ট তাঁবু। যা এই জওয়ানদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে তৈরি।
প্রবল ঠান্ডায় প্রহরার কাজে থাকতে হয় সেনা জওয়ানদের। তাঁদের সেই ঠান্ডা থেকে বাঁচাতে এই স্মার্ট তাঁবুতে শ্যাম চৌরাসিয়া নামে ওই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র তৈরি করেছেন বিশেষ ধরনের হিটার। যা চালাতে কোনও বিদ্যুৎ বা ব্যাটারি লাগবে না।
সেনাকর্মীরা হস্তচালিত যন্ত্রে বিদ্যুৎ তৈরি করে ওই হিটারগুলিকে উত্তপ্ত করে তুলতে পারবেন। এছাড়াও ওই তাঁবুতে রয়েছে শত্রুপক্ষ আসছে কিনা তা বহু দূর থেকে জানার উপায়।
তাঁবুতে একটি উচ্চ প্রযুক্তির সেন্সর লাগানো থাকছে। সেটি ৫০ কিলোমিটার দূরে থাকা শত্রুপক্ষের উপস্থিতি জানান দেবে। তাতে শত্রুপক্ষকে মোকাবিলা করা অনেক সহজ হবে। অনেকটা সময় পাওয়া যাবে তাদের আক্রমণ ঠেকানোর জন্য।
শ্যামের মতে, তিনি সংবাদপত্রে সিআরপিএফ ক্যাম্পে অতর্কিত হামলার কথা পড়েছেন। শত্রুদের সেই হানা ঠেকাতেই এই বিশেষ সেন্সর লাগিয়েছেন তিনি।
তাঁবুর চারধারে ল্যান্ডমাইনের মত করে এই সেন্সর লাগানো থাকবে। যা বাকি তাঁবু ও সেনা ছাউনির সঙ্গে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি মারফত যোগাযোগ রাখবে ও শত্রু আগমনের কথা আগেভাগে জানান দেবে।
মেরঠের এমআইইটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র শ্যাম মাত্র ২৪ হাজার টাকায় এই স্মার্ট তাঁবু বানিয়ে কার্যত তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এই অর্থ সাহায্য করেছে তাঁর কলেজ।
এই তাঁবু যাতে ভারতীয় সেনায় কাজে লাগানো যায় সেজন্য ইতিমধ্যেই এর খুঁটিনাটি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন কলেজের ভাইস চেয়ারম্যান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা