ফাঁকা বাড়িতে জমিয়ে খিচুড়ি রাঁধতে গিয়েই ফেঁসে গেল চোর
খিচুড়ি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারি। তা রেঁধে খাওয়াতেও দোষ নেই। কিন্তু সেই খিচুড়ি রান্নাই হানিকারক হল এক চোরের জন্য। একথা মেনে নিচ্ছে পুলিশও।
পাশের বাড়ির লোকজন বাইরে যাওয়ার আগে প্রতিবেশিদের জানিয়েই গিয়েছিলেন। বাড়ি যে বন্ধ থাকবে তাও জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। বাড়িতে তালা দিয়ে তাঁরা বাইরে থাকাকালীন খোঁজখবর নিয়েই এক চোর লুকিয়ে বাড়িতে ঢোকে। এতটাই সন্তর্পণে প্রবেশ করে যে তার বাড়িতে ঢোকার বিষয়টি ঘুণাক্ষরেও কেউ জানতে পারেননি।
এদিকে চোর বাড়িতে ঢুকে চুরি করে বেরিয়ে যাওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু সে ফাঁকা বাড়ি পেয়ে নিশ্চিন্তে রান্নাঘরে হাজির হয়। তারপর সব নেড়েচেড়ে দেখে খিচুড়ি রান্নার সব উপকরণই মজুত রয়েছে।
সব গুছিয়ে নিয়ে সে খিচুড়ি রান্না শুরু করে দেয়। জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করে তারপর চুরি করে চম্পট দেওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। এদিকে বন্ধ বাড়ির রান্নাঘর থেকে রান্না করার আওয়াজ কানে আসে প্রতিবেশিদের। তাঁরা প্রথমে কিছুটা অবাক হয়ে যান।
বন্ধ বাড়িতে রান্না কে করছে? তারপরই তাঁরা বুঝতে পারেন বাড়িতে কেউ ঢুকেছে। সময় নষ্ট না করে দ্রুত তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে বাড়ি ঘিরে ফেলে। আর পালাবার পথ নেই। হাতেনাতে ধরা পড়ে চোর।
ঘটনাটি ঘটেছে অসমের গুয়াহাটি শহরের হেংরাবারি এলাকায়। অসম পুলিশই ট্যুইট করে ঘটনার কথা জানিয়েছে। কিছুটা রসিকতা করেই পুলিশ জানিয়েছে এই চোরের জন্য খিচুড়ি রান্না স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক হয়েছে। ওই চোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে এই ট্যুইট দেখে চোরকে নিয়ে হাসিঠাট্টায় মেতেছেন নেটিজেনরা।