রোগ লুকিয়ে গেছেন স্বামী, সেই রোগে এখন তিনিও আক্রান্ত, পুলিশের কাছে গেলেন স্ত্রী
স্বামী তাঁর রোগের কথা লুকিয়ে গেছেন। স্ত্রীকে জানাননি। এখন তিনিও স্বামীর সঙ্গে একই রোগে আক্রান্ত। এই অভিযোগ করে স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে গেলেন স্ত্রী।
পাত্র ভাল চাকরি করে। মেয়ের বিয়ে দেওয়ার আগে যেকোনও অভিভাবকদের কাছে একটা গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। এক্ষেত্রে পাত্রের ভাল চাকরি দেখেই বিয়ে দেন বাবা-মা।
পাত্রীর সঙ্গে ১০ বছরের ফারাক। সেটাও অন্তরায় হয়নি। বিয়ের পর হানিমুনে গিয়ে স্বামী প্রায়ই পেটের যন্ত্রণায় ভুগত। তারপর বাড়ি ফেরার পরও মেয়েটি সুখে ছিলেন না। ক্রমশ স্বামী মানসিক অত্যাচার বাড়াতে থাকে বলে অভিযোগ। মেয়েটিকে তাঁর বাবার কাছ থেকে টাকা আনতেও চাপ দেওয়া হয়। লক্ষাধিক টাকাও নেয় তাঁর স্বামী।
এদিকে একদিন স্বামী অফিসে ছিল। সে সময় ঘর গোছানোর সময় সবকিছু ঘাঁটতে গিয়ে একটি কাগজ হাতে পান স্ত্রী। যা দেখে কার্যত তাঁর ঘুম উড়ে যায়।
তিনি দেখেন তাঁর স্বামী এইচআইভি পজিটিভ। যা তাঁকে জানাননি। এভাবে স্বামী তাঁর কাছে রোগ লুকিয়ে গেলেন! দ্রুত কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজেও এইচআইভি পরীক্ষা করান ওই বছর ২৫-এর তরুণী। সেই রিপোর্টে তাঁরও পজিটিভ আসে।
মাথায় কার্যত বাজ ভেঙে পড়ে ওই তরুণীর। অন্য মহিলার সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক রয়েছে এবং সেটাও তিনি লুকিয়ে গেছেন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী।
স্বামীর বিরুদ্ধে রোগ লুকিয়ে বিয়ে করার দাবি করেন তিনি। এখন তাঁকে বাড়ি থেকে গয়নাগাটি সব কেড়ে তাঁর স্বামী বার করে দিয়েছেন বলেও পুলিশের কাছে দাবি করেছেন ওই তরুণী।
ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বাসাভানাগুড়ি মহিলা পুলিশ স্টেশনে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ওই তরুণী মহিলা কমিশনেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা