বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনের কোর্স তৈরি করছেন ক্লাস টেন ফেল
বিশ্ববিদ্যালয়ে কি পড়ানো হবে তার কোর্স তৈরি করে দিচ্ছেন এক ক্লাস টেন ফেল মানুষ। পরীক্ষায় পাশের সার্টিফিকেট না থাকলেও তাঁর জ্ঞানকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন তাবড় পণ্ডিতও।
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাল ফলাফল করার সুফল অবশ্যই রয়েছে। তবে সেটাই যে কোনও বিষয়ে প্রকৃত শিক্ষিত ও জ্ঞানী হয়ে ওঠার একমাত্র মাপকাঠি হতে পারেনা তা ফের একবার প্রমাণ হল। প্রমাণ করলেন পড়াশোনার জগতে ক্লাস টেন পাশ করতে না পারা হুকুমচাঁদ পাতিদার।
তাঁর বড় বড় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সার্টিফিকেট না থাকতে পারে কিন্তু এই মানুষটার জ্ঞানকে উপেক্ষা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ও পারছেনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনের কোর্সও তৈরি করে দিচ্ছেন তিনি।
রাজস্থানের ঝালাওয়ার জেলার মানপুরা গ্রাম। এই গ্রামেরই এক কৃষকের নাম হুকুমচাঁদ পাতিদার। কিন্তু তাঁর নাম জানে না এমন কোনও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে নেই।
জৈব চাষাবাদের বিষয়ে তাঁর অগাধ জ্ঞানকে এখন কুর্নিশ করছেন বিজ্ঞানী, গবেষক, অধ্যাপকেরাও। যাঁদের পাণ্ডিত্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনা।
হুকুমচাঁদ পাতিদার কিন্তু এখন এসব বিজ্ঞানী, গবেষকদের সঙ্গে একসঙ্গে বসে স্থির করেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব চাষাবাদের কোর্স কি হবে। এ বিষয়ে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ, তাঁর প্রস্তাব মেনে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স তৈরির নিয়ামক পণ্ডিতরাও।
গরুর গোবর সহ প্রকৃতি থেকে পাওয়া বিভিন্ন উপাদানকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে আধুনিক জৈব চাষাবাদ করা সম্ভব হবে সে বিষয়ে হুকুমচাঁদের জ্ঞান অগাধ।
তাঁর দাবি, তিনি এসব তথ্য অর্জন করেছেন বহু পুরনো নথি ও ভারতে বহুকাল আগে হওয়া চাষাবাদ পদ্ধতি নিয়ে পড়াশোনা করে। এগুলিই তিনি প্যানেলে আলোচনা করেন। যা মেনে নেন বিশেষজ্ঞেরাও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা