১০ দিন জেলবন্দির পাকস্থলীতেই আটকে রইল আস্ত মোবাইল ফোন
টানা ১০ দিন পেটে ধারণ করেছিল সে। ছোটখাটো কিছু নয়। একটা আস্ত মোবাইল ফোন। যা এক আচমকা হওয়া তল্লাশির সময় ভয়ে গিলে ফেলেছিল সে।
কম কথা নয়। ১০ দিন ধরে একটা মোবাইল ফোন মানুষের পাকস্থলীর মধ্যে আটকে রইল। পাকস্থলীকে দিব্যি যেন সুখী গৃহকোণ তৈরি করে নিয়েছিল সে।
এদিকে তিহার জেলের বন্দি ওই ব্যক্তিকে দীন দয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তারপর তাকে পাঠানো হয় জিবি পন্থ হাসপাতালে।
হাসপাতালে ভর্তি জেলবন্দির পেট থেকে কীভাবে ওই মোবাইল বার করা যায় তা নিয়ে রাতদিন এক করে ফেলছিলেন চিকিৎসকেরা। দুম করে কোনও পদক্ষেপে হিতে বিপরীত হতে পারে বলেই মনে করছিলেন তাঁরা।
সারাক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল মোবাইল গিলে নেওয়া ওই রোগীকে। গত ৫ জানুয়ারি সে গিলে নিয়েছিল মোবাইলটি। ১০ দিন পর ১৫ জানুয়ারি সেই মোবাইল বার করা হল তার পেট থেকে।
এন্ডোস্কোপি করে তা বার করেন চিকিৎসকেরা। তারপর থেকে ওই রোগীকে কঠোর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। ৪ দিন নজরে রাখার পর তাকে সুস্থ করে ফের জেলে পাঠানো হয়েছে।
কোনও সংশোধনাগারেই মোবাইল ফোন বন্দিদের হাতে থাকা নিষিদ্ধ। গারদের পিছনে থাকা কোনও বন্দির হাতেই মোবাইল ফোন যেতে পারেনা। তবু যাচ্ছিল।
দিল্লির তিহার জেলকে অন্যতম সুরক্ষিত জেল বলেই জানেন সকলে। সেখানেই কিন্তু মোবাইল ও অন্য বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম নিশ্চিন্তে পৌঁছে যাচ্ছিল বন্দিদের হাতে।
কীভাবে তা নিয়ে খোঁজ শুরু হতে জানা যায় এর পিছনে রয়েছেন জেলের আধিকারিকরা। গত ৬ মাসে ৪০ জন এমন আধিকারিকের খোঁজ পায় তদন্তকারী সংস্থা।
জেলের মধ্যে কার কাছে কি রয়েছে তারও জোরদার খোঁজ শুরু হয়। গত ৫ জানুয়ারি ১ নম্বর জেলে বন্দি এক ব্যক্তিকে সন্দেহ হওয়ায় কারারক্ষীরা তাকে পরীক্ষা করতে যান। তখনই সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনটি কোথাও লুকোতে না পেরে গিলে ফেলে সে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা