লক্ষ্য ১০০ বার পরাজিত হওয়া, ৯৪ তম বার ভোটে দাঁড়ালেন ৭৪-এর বৃদ্ধ
ভোটে মানুষ লড়ে জেতার জন্য, কিন্তু তিনি লড়েন হারার জন্য। তিনি চান জীবনে ১০০ বার ভোটে হারতে। এবার তিনি ৯৪ তম বার ভোটে দাঁড়ালেন।
ভোটে প্রার্থী কেবল বড় রাজনৈতিক দলের নেতারাই হন না, এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা নির্দল হিসাবে ভোটে দাঁড়ান। ফলে যখন ভোটদান করতে যাওয়া হয় তখন ব্যালটে বা ইভিএম-এ অনেক নাম ও প্রতীক দেখতে পাওয়া যায়।
এভাবেই তিনিও নির্দল হিসাবেই ভোটে দাঁড়ান। তাঁর বিশেষত্ব হল তিনি এখনও হাল ছাড়েননি। সুকুমার রায়ের সৎ পাত্র ১৯ বার ম্যাট্রিক পরীক্ষায় ফেল করে সেখানেই থেমেছিলেন। কিন্তু হাসানুরাম আম্বেদকরি হাল ছাড়েননি।
ভীম রাও আম্বেদকরের আদর্শে অনুপ্রাণিত এই মানুষটি ১৯৮৫ সাল থেকে ভোটে লড়ে আসছেন। কোনও বাছবিচার নেই তাঁর। সবরকম ভোটে লড়েন তিনি।
মনোনয়ন জমা দেন লোকসভা, বিধানসভা, পঞ্চায়েত সব নির্বাচনেই। প্রথম দিকে লড়তেন জয়ের ক্ষীণ আশা নিয়ে। কিন্তু কয়েকটি নির্বাচনে হারার পর বুঝে যান বড় দলের সঙ্গে লড়ে তাঁর পক্ষে জেতা মুশকিল। তাই তিনি অন্য লক্ষ্য স্থির করেন।
হাসানুরাম আম্বেদকরি স্থির করেছেন তিনি থামবেন না। জয় না হোক, হারে তিনি রেকর্ড গড়বেন। ১০০টি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েও পরাজিত হওয়ার রেকর্ড গড়তে চান তিনি।
১৯৮৫ সাল থেকে সব ধরনের ভোটে লড়তে লড়তে তাঁর প্রার্থী হওয়ার সংখ্যা এসে ঠেকেছে ৯৪-তে। এবারও উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হয়েছেন। প্রতিবার কিন্তু তিনি একই আসন থেকে প্রার্থী হন না। রাজ্যের বিভিন্ন আসন থেকে ভোটে দাঁড়ান হাসানুরাম।
৭৪-এর বৃদ্ধ পেশায় কৃষি শ্রমিক হাসানুরাম আম্বেদকরি এবার প্রার্থী হয়েছেন আগ্রার খেরাগড় আসন থেকে। ইতিমধ্যেই তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচারও শুরু করেছেন।
তথাকথিত পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য লড়াই করাই তাঁর লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন হাসানুরাম। ১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়।
১৯৮৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে ফিরোজাবাদ আসন থেকে লড়েন তিনি। সেটাই ছিল তাঁর সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া। ৩৯ হাজার ভোট পান হাসানুরাম আম্বেদকরি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা