সাপের গালে চুমু খাওয়া সুরেশ এবার এক ছোবলে মৃত্যুর মুখে
ছোবল তিনি জীবনে কম খাননি। কিন্তু প্রতিবারই ফিরে এসেছেন। এবার কিন্তু সেই সুরেশই মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। তাঁর ভালবাসার সাপের এক ছোবল ডাকল বিপদ।
সাপের সঙ্গে তাঁর সখ্যতা একদিনের নয়। গত ২ দশক ধরে তিনি সাপ ধরে বেড়ান। সাপদের সঙ্গে খেলা করেন। সাপদের গতিবিধি তাঁর কাছে জলভাত। নখের ডগার মত চেনেন সাপের চালচলন। এমনকি সাপকে চুমুও খেয়েছেন তিনি।
গত সোমবারও গিয়েছিলেন একটি সাপের খবর পেয়ে। গিয়ে দেখেন সাপটি অতিবিষধর কেউটে। বছর ৪৮-এর মানুষটির কাছে সাপ ধরা কোনও শক্ত কাজ নয়। জীবনে ৫০ হাজারের ওপর সাপ ধরেছেন তিনি।
৫০ হাজার সাপ ধরার অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি কেউটেটার লেজ চেপে ধরেন। তিনি জানেন কীভাবে সাপকে কাবু করতে হয়। কীভাবে তাদের পাকড়াও করতে হয়। সোমবার কেউটেটি কিন্তু লেজ ধরা থাকা অবস্থাতেই আচমকা তাঁর উরুতে ছোবল বসিয়ে দেয়।
কেরালার স্বনামধন্য সাপ ধরা ভাবা সুরেশ কিন্তু তারপরও দমে যাননি। তিনি সাপটিকে ঠিকই কব্জা করেন। তারপর তাকে একটি চটের ব্যাগে ভরে ফেলেন।
সাপ ধরা সম্পূর্ণ হতেই তিনি আশপাশের মানুষজনকে বলেন তাঁরা যেন তাঁকে যত দ্রুত সম্ভব কাছের কোনও হাসপাতালে নিয়ে যান। একথা শুনে আশপাশের মানুষজন সুরেশকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন। ততক্ষণে বিষ হুহু করে শরীরে ছড়াতে শুরু করেছে।
সুরেশকে তৎক্ষণাৎ প্রতিষেধক দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। দ্রুত তাঁকে কোট্টায়াম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়।
আপাতত আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন সুরেশ। এর আগে প্রায় ৩০০ বার সাপের ছোবল খেয়েছেন তিনি। সেই ভরসায় মানুষের আশা এবারও তিনি ঠিকই ফিরে আসবেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা