বিদ্যুতের শক থেকে বেঁধে রাখা, মিরামের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে চিনা সেনা
চিনা সেনা ৯ দিন পর ফিরিয়ে দিয়েছে অরুণাচলের কিশোরকে। এই ৯ দিনে কিন্তু অকথ্য অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে মিরামকে। দাবি করলেন সাংসদ গাও।
অরুণাচল প্রদেশের কিশোর মিরাম তারোনের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে চিনা সেনা। এমনই দাবি করলেন স্থানীয় সাংসদ তাপির গাও। তিনিই মিরামের চিনা সেনার হাতে ধরা পড়া সামনে এনেছিলেন। তিনিই এবার মিরামকে ভারতীয় সেনার হাতে তুলে দেওয়ার পর জানালেন যে ৯ দিন মিরামকে আটক করে রাখার সময় তার ওপর চরম অত্যাচার চালিয়েছে চিনা সেনা।
চিনা সেনা মিরামকে বেঁধে ফেলে রাখত। তার চোখও বাঁধা থাকত। মিরামের হাত পা বাঁধা থাকত। মাঝেমধ্যে তাকে চিনা সেনার পদাঘাতও সহ্য করতে হয়েছে। এমনকি মিরামকে ইলেকট্রিক শক পর্যন্ত দিয়েছে চিনা সেনা। এমনই দাবি করেছেন সাংসদ।
অন্যদিকে মিরামের বাবা জানিয়েছেন ছেলে ফেরার পর তিনি দেখেছেন সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তবে চিনা সেনা খাবারটা ঠিকঠাক দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সাংসদ তাপির গাও আরও বলেন, ভারতের ভূখণ্ডেও অনেক সময় চিনা মহিলা, পুরুষ ঢুকে আসেন। তাঁদের উদ্ধার করে ভারতীয় সেনা। তারপর তাঁদের সসম্মানে চিনা সেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
কিন্তু এক্ষেত্রে উল্টো ব্যবহার আসছে চিনা সেনার দিক থেকে। যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। ভারত সরকার যেন বিষয়টি দেখে তাও জানিয়েছেন গাও।
অরুণাচল প্রদেশের চিন সীমান্তের কাছে জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ে অনেক সময় স্থানীয় বাসিন্দারা শিকার করতে বা ওষধি গাছের খোঁজে বা খাবার খুঁজতে যান। অনেক সময় তাঁদের সেই ঘন জঙ্গল থেকে তুলে নিয়ে যায় চিনা সেনা। এ ঘটনা নতুন নয়।
গত ১৮ জানুয়ারি অরুণাচলের আপার সিয়াং জেলার জিডো গ্রামের বাসিন্দা মিরাম তারোন নিখোঁজ হয়ে যায়। তার এক বন্ধু দাবি করে চিনা সেনা মিরামকে তুলে নিয়ে গেছে।
বিষয়টি সকলের নজরে আনেন স্থানীয় সাংসদ তাপির গাও। এরপর ভারতীয় সেনা চিনা সেনার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা পরে জানায় এক ভারতীয় কিশোর জঙ্গলে হারিয়ে গিয়েছিল। তাকে তারা উদ্ধার করেছে। অবশেষে ৯ দিন পর মিরামকে চিনা সেনা ভারতীয় সেনার হাতে তুলে দেয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা