এ লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করার প্রবল ইচ্ছায় ভিড় পড়ুয়াদের
এ লাইব্রেরিতে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ইচ্ছা সামলানো দায় হচ্ছে। সারাদিন পড়ুয়াদের ভিড় লেগে থাকছে লাইব্রেরিতে। পড়ার প্রতি এত উৎসাহ কিন্তু কদিন আগেও ছিলনা।
স্কুল পড়ুয়া সব ছাত্রছাত্রীই কি পড়াশোনায় সমান উৎসাহ পায়? সকলের কি সারাদিন পড়তে ইচ্ছা করে? উত্তরটা স্বাভাবিকভাবেই না। কিন্তু এই স্কুলের পড়ুয়াদের এখন পড়াশোনায় উৎসাহ দেখে কে! তাদের ধরে রাখা যাচ্ছেনা।
সারাক্ষণ পড়তে চাইছে। তবে তা বাড়িতে নয়, তাদের উৎসাহ স্কুলের লাইব্রেরিতে পড়া করার। সেখানে উপচে পড়ছে পড়ুয়াদের ভিড়। লাইব্রেরিতে বেশি ভিড় থাকলে ঢুকতে না পেরে মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে তাদের।
এমন কাণ্ড অভিভাবকদের আনন্দও দিচ্ছে, আবার অবাকও করছে। বাড়িতে যে পড়তেও বসত না, সে এখন হৈহৈ করে পড়তে যাচ্ছে! এ ম্যাজিক সম্ভব হয়েছে বিহারের সমস্তিপুর জেলার শিবসিংপুরের একটি মিডল স্কুলে। আইডিয়াটা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের।
তাঁর মনে হয় এমন কিছু করতে হবে যাতে ছাত্রছাত্রীদের পড়ায় মন বসে। তিনি একটি লাইব্রেরি তৈরি করেন। যেটি দেখতে একটা বিমানের মত।
যা দেখতে তো বিমানের মত বটেই, সেইসঙ্গে তার রয়েছে ককপিট, রয়েছে ডানা, রয়েছে চাকা এবং রয়েছে বিমান লাইব্রেরির মধ্যে ঢোকার জন্য বিমানের মত করে সিঁড়ি। আর এতেই মন মজেছে পড়ুয়াদের।
তারা বিমানের মধ্যে ঢুকে পড়াশোনায় দারুণ উৎসাহ পাচ্ছে। কৌতূহলের সীমা নেই তাদের। প্ৰধান শিক্ষক মেঘান সাহানি জানিয়েছেন, এটি তৈরি করার জন্য একটা টাকাও সরকারি অর্থ সাহায্য তিনি পাননি। ছাত্রছাত্রীদের পড়ার প্রতি উৎসাহ বাড়াতে ২ লক্ষ টাকা খরচ করে এটি তিনি নির্মাণ করেছেন।