বিয়ের মাঝেই ভোট দিতে এলেন বর কনে, ফিরে সম্পূর্ণ করলেন বাকি নিয়ম
বিয়ে বলে কথা। তার অনেক নিয়ম আছে, আচার আছে। কিন্তু সেসব ফেলে বিয়ে সেরেই বরকনে চলে এলেন ভোটদান করতে।
এটা একটা উদাহরণও বটে। বিয়ের মত অনুষ্ঠানে চারহাত এক হওয়ার পরও থাকে হাজারো নিয়ম। কিন্তু কেবল বিয়েটি সেরে বরকনে সোজা চলে এলেন ভোট কেন্দ্রে। তাও আবার বিয়ের পোশাকে।
কনে কেবল ঠান্ডার জন্য গায়ে চড়িয়ে নিলেন একটি কোট। বাকি তো মাথায় বিয়ের টিকলি পর্যন্ত রইল তাঁর। অন্যদিকে সদ্যবিবাহিত তরুণ অমন এলেন একদম বিয়ের পোশাকেই। তখনও কনের বাড়ি থেকে বিদায় পর্ব বাকি। রয়েছে আরও নানা আচার অনুষ্ঠান।
কিন্তু এই তরুণ দম্পতি বিয়ের পরই চলে এলেন নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে। তাঁদের মতে, এটা সকলের একান্ত কর্তব্য।
হতে পারে বিয়ের দিন। কিন্তু ভোট দানের জন্য কিছুটা সময় বার করে নেওয়াই যায়। আর তাঁরা সেটাই করেছেন। সঠিক সরকার বেছে নেওয়া তাঁদের কর্তব্য বলেও মনে করেন অমন ও দিব্যাংশী।
এই তরুণ দম্পতি থাকেন আগ্রায়। বৃহস্পতিবার ছিল উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের প্রথম দিন। আগ্রার জয়পুর হাউসে ছিল তাঁদের ভোটকেন্দ্র। সেখানে এসে ভোটদান করেন তাঁরা। তারপর ফিরে যান বাড়িতে। বলা ভাল বিয়ের আসরে।
সেখানে তারপর শেষ হয় অন্যান্য বিয়ের নিয়ম। পরে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে স্বামী অমন জৈনের হাত ধরে রওনা দেন দিব্যাংশী জৈন। তবে তার আগে একটি বার্তা দিয়ে যান তাঁরা।
বিয়ের মত জীবনের এক অনুষ্ঠানের মাঝেও যদি ভোট দিতে আসা যায় তাহলে ভোটের দিনকে কেবল ছুটির দিন ধরে ভোট দিতে না আসার কোনও কারণ থাকতে পারেনা। ভোটদান নাগরিকের অধিকার। আর তা প্রয়োগের সময়টুকু বার করে নেওয়াই সকলের কর্তব্য। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা