বিবাহবিচ্ছেদ চাওয়ায় স্ত্রীকে রোগ উপহার দেওয়ার চেষ্টা যুবকের
নিজে এক মারণ রোগে আক্রান্ত। আর সেই রোগে স্ত্রীকেও আক্রান্ত করতে চেষ্টা করল এক ব্যক্তি। এমন জঘন্য প্রচেষ্টার পর আপাতত পালিয়ে বেড়াচ্ছে অভিযুক্ত স্বামী।
২০১৫ সালে এক তরুণীকে বিয়ে করে এক যুবক। তরুণী তখন বিবাহবিচ্ছিন্না। তাঁকে এক নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখায় যুবক। কিন্তু বিয়ের পরই তরুণী জানতে পারেন এক চরম সত্য। যাঁকে তিনি বিয়ে করেছেন যেই যুবক মারণ রোগ এইচআইভি পজিটিভ।
যুবক তাঁকে বোঝায় যে এর জন্য তার প্রথম স্ত্রী দায়ী। যুবকের সেই অজুহাত মেনে নিয়ে তার সঙ্গে থাকতে থাকেন ওই তরুণী। তাঁরা শারীরিক মিলনও করেন। তবে যাবতীয় সুরক্ষা নিয়ে, যাতে ওই তরুণী আক্রান্ত না হন।
এভাবেই ৬ বছর চলেছে। হালে ওই যুবক অন্য এক মহিলাকে নিয়ে সোজা বাড়িতে হাজির হয়। তার স্ত্রীকে জানায় ওই মহিলার সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে।
স্বামী এইচআইভি পজিটিভ জেনেও ২৮ বছরের ওই তরুণী তার সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু এটা দেখার পর তিনি জানিয়ে দেন আর তিনি ওই যুবকের সঙ্গে সংসার করবেননা। বিবাহবিচ্ছেদও চাইবেন।
এরপরই পেশায় ট্যাক্সিচালক ওই যুবক প্রতিশোধের পথ খুঁজতে থাকে। হালে সে একদিন রাস্তায় স্ত্রীকে ট্যাক্সিতে তুলে নেয়। তারপর নিয়ে যায় তার এক বন্ধুর খালি বাড়িতে।
স্ত্রীকে কথা বলতে চায় বলে জানিয়ে সে মাদক খাইয়ে দেয়। তারপর কোনও সুরক্ষা ছাড়াই তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। উদ্দেশ্য একটাই, স্ত্রীকেও এইচআইভি পজিটিভ করে দেওয়া।
পরে ওই তরুণী মহিলা থানায় সব কথা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর শারীরিক পরীক্ষাও শুরু হয়েছে। এদিকে স্ত্রীকে মারণ রোগ উপহার দিতে চাওয়া ওই যুবককে এখন হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের ভাসাভানাগুড়ি এলাকায়। পুলিশ জানতে পেরেছে বিবাহবিচ্ছিন্না মহিলাদের বিয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে ওই যুবক তাঁদের থেকে টাকা হাতানোর চেষ্টা করত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা