দেশের অন্যতম সমুদ্র শহরে মিলল সোনার খোঁজ
দেশের অন্যতম সমুদ্র শহর বলে বিখ্যাত এই শহরে এবার নতুন চমক। এখানেই মাটির তলায় মিলল মিলল লোহার সঙ্গে মিশে থাকা সোনার খোঁজ।
এ শহরের আকর্ষণ চিরকালীন। দেশের বহু মানুষই ভাবেন একবার অন্তত এই শহরের সমুদ্রের ধারে বেড়িয়ে আসবেন। শুধু দেশ বলে নয়, বিদেশিদের কাছেও এ সমুদ্রসৈকতের টান অমোঘ।
গোয়ার কথাই হচ্ছে। গোয়া বললেই সোনালি সমুদ্রতট, সমুদ্র আর অলস আনন্দে ভরা দিনের কথাই মাথায় আসে। কিন্তু সেই সমুদ্র শহরে এবার মিলল সোনার খোঁজ।
মাটির তলায় অনেক সোনা লুকিয়ে আছে বলেই হদিশ মিলেছে। গোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ গবেষক গবেষণা করতে করতে এই লুকোনো খাজানার খোঁজ পেয়েছেন।
গোয়ার খনি শিল্প বর্তমানে মুখ থুবড়ে পড়েছে। এখানে মাটির তলায় যে অনেক লৌহ আকরিক রয়েছে তা আগেই জানা ছিল। কিন্তু সেই লোহার মধ্যে যে সোনা লুকিয়ে আছে তা জানা ছিলনা। তারই খোঁজ দিয়েছেন ২ গবেষক।
যার হাত ধরে গোয়ার খনি শিল্প কার্যত এবার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে। মনে করা হচ্ছে লোহার সঙ্গে মিশে থাকা সোনা যদি বার করে আনা যায় তাহলে তা গোয়ার খনি শিল্পের দৈন্যদশা নিমেষে মুছে দিতে পারে।
গোয়ায় পর্তুগিজদের সময় থেকেই খনি শিল্প শুরু হয়। স্থানীয় উত্তোলকদের হাতেই ছিল খনিগুলির ভার। ২০১২ সালে ৩৫ হাজার কোটি টাকার খনি দুর্নীতির জেরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বন্ধ হয়ে যায় খনি থেকে লোহা তোলা।
২ বছর পর সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও খনি শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। বরং ২০১৮ সালে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি হয় খনিজ উত্তোলনে। এখন যখন সোনার হদিশ মিলেছে তখন তা এখানকার খনি শিল্পের হাল ফেরাতে পারে কিনা সেটাই দেখার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা