কাগজ কুড়ানি কিশোরীদের জীবন বদলে দিলেন প্রাক্তন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার
কাগজ কুড়িয়ে দিন কাটানো কিশোরীদের জীবনে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর পথ করে দিলেন প্রাক্তন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। বস্তির বদ্ধ জীবন থেকে আকাশে ডানা মেলল তারা।
কাগজ কুড়িয়ে আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দিন কাটিয়ে তারা বড় হয়ে উঠছিল। কিন্তু ভবিষ্যৎ? সেখানে আদৌ কোনও আশার আলো আছে কি?
ওই কিশোরীদের পরিবারও জানে তাদের মেয়েদের ভবিষ্যৎ বলে সত্যিই কিছু নেই। পড়াশোনা কাকে বলে তা ওই কিশোরীদের জানা নেই।
সারাদিনে কাগজ আর জঞ্জাল কুড়িয়ে যা রোজগার হয় তাই তাদের সারাদিনের পরিশ্রমের ফল। এভাবে এতগুলো কিশোরীর জীবন অন্ধকারে ডুবে যেতে দেননি প্রাক্তন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার নন্দিতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি একটি এনজিও তৈরি করেছেন। যার নাম দিয়েছেন নয়া ধরতি। এই নয়া ধরতি আসলে ১০০টির ওপর কিশোরীর জীবনে নয়া রোশনি বা নতুন আলো নিয়ে এসেছে।
বিহারের দানাপুরের শতাধিক কাগজ কুড়ানি কিশোরী এখন আর সকাল হলে জঞ্জাল কুড়োতে বার হয়না। বরং স্কুলে যায়। নন্দিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিবেদিতা গার্লস স্কুলে তারা পড়াশোনা করে। তাদের পড়াশোনার সব খরচ বহন করছে নয়া ধরতি এনজিও।
স্কুল করে তারা যদি ফের সেই বস্তিতে ফেরে তাহলে তাদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত হতে পারে। এটা মাথায় রেখে স্কুলেই তাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। বলা ভাল তারা এখন আবাসিক স্কুলে পড়াশোনা করে ভবিষ্যৎ গড়ে তুলছে।
আর তাদের এই বদলে যাওয়া জীবন উপহার দিয়েছে এক প্রাক্তন ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের ঐকান্তিক ইচ্ছা। যা ওই কিশোরীদের জীবনে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার দিশা খুলে দিয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা