পা হড়কে নন্দি পাহাড়ের খাদে পড়ে গেল কিশোর, সেলফি পাঠিয়ে উদ্ধারের আর্তি
পাহাড়ে চড়তে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। ১৮ বছরের এক কিশোর পাহাড়ে চড়তে গিয়ে পা হড়কে পড়ে ৩০০ ফুট গভীর খাদে। কোনওক্রমে সেখান থেকে পাঠায় সেলফি।
১৮ বছর বয়স কোনও বাধা মানে না। দুঃসাহস তাদের জীবনের সঙ্গে মিশে যায়। পড়াশোনার পাশাপাশি ১৮ বছরের নিশঙ্ক কলের পাহাড়ে চড়ার নেশা তাকে বারবার টেনে নিয়ে যেত দুর্গম দুঃসাহসিক অভিযানে।
এভাবেই সে নন্দি পাহাড় চত্বরের ব্রহ্মগিরি পাহাড়ের গা বেয়ে চড়তে শুরু করেছিল। অনেক দূর উঠেও গিয়েছিল। কিন্তু তখনই আচমকা পাহাড়ে গায়ের পাথরে তার পা হড়কে যায়। আর নিজেকে সামলানোর সুযোগ পায়নি সে। সোজা গিয়ে পড়ে নন্দি পাহাড়ের খাদে।
৩০০ ফুট নিচে গিয়ে পড়ে নিশঙ্ক। আহত নিশঙ্ক বুঝতে পারে তার এখান থেকে বার হওয়ার পথ নেই। অতি দুর্গম খাদে সে এমন জায়গায় পড়ে আছে যেখান থেকে তাকে উদ্ধার করাই কষ্টসাধ্য। চৌহদ্দির মধ্যে কোনও জনমানব নেই।
এই অবস্থায় বাঁচানোর আর্তি জানিয়ে সে ছবি পাঠায়। তার পকেটে থাকা মোবাইল ক্যামেরায় সেলফি তুলে নিজের অবস্থা ও অবস্থান জানিয়ে তার সেলফি পরিবারের লোকজন পাওয়ার পরই তাঁরা উদ্যোগী হন। নিশঙ্কের বোন সরাসরি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ভাইকে বাঁচানোর আবেদন জানান।
দ্রুত খবর যায় বেঙ্গালুরুর সেনা ছাউনিতে। বেঙ্গালুরুর কাছেই নন্দি পাহাড়। তাই বায়ুসেনার সেখানে পৌঁছতে সময় লাগেনি। কিন্তু পৌঁছলেও নিশঙ্ককে ওই দুর্গম খাদ থেকে তুলে আনার পথ পাওয়া যাচ্ছিল না।
অনেক চেষ্টার পর এক দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়ে অবশেষে ১৮ বছরের নিশঙ্ককে উদ্ধার করেন ভারতীয় বায়ুসেনার জওয়ানরা। বায়ুসেনার এমআই-১৭ হেলিকপ্টারে গহন অরণ্যে নজরদারি চালিয়ে চলার ক্ষমতা হারানো নিশঙ্কের দেখা পায় বায়ুসেনা। তারপরই তাকে উদ্ধার করা হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা