অফিসের ২০ লক্ষ টাকা চুরি করে প্রেমিকাকে বরফের রাজ্যে ঘুরতে নিয়ে গেল প্রেমিক
অফিস থেকে ২০ লক্ষ টাকা চুরি করে শুধু পালালোই না অভিযুক্ত ব্যক্তি, বরং প্রেমিকাকে নিয়ে বেড়াতে গেল বরফে সাজা পাহাড় ঘেরা রাজ্যে।
শীতের দিনে হিমালয় এখন আরও বেশি করে বরফে সেজেছে। আর হিমালয়ের কোল ঘেঁষে থাকা রাজ্যগুলি এখন বরফের সাজে অন্য রূপে রূপবতী।
বহু মানুষ শীতের দিনে সেই বরফে সেজে ওঠা প্রকৃতিকে দুচোখ ভরে দেখতে হাজির হন এমন সব পাহাড়ি জায়গায়। আর সেই বেড়ানোয় যদি প্রেমিকা সঙ্গী হন তাহলে তো বেড়ানোর আনন্দ অন্য মাত্রা পায়।
তবে এমন বেড়ানো তখনই ভাল যখন কেউ শান্তিতে ঘুরতে পারেন। এক্ষেত্রে সেটাই তো হল না। কারণ প্রেমিকাকে নিয়ে বরফের দেশে এক রোমান্টিক বেড়ানোর মাঝে পিছু তাড়া করল পুলিশ।
পুলিশের কাছে একটি ফোন আসে কদিন আগে। ফোনে জানানো হয় দিল্লির শাস্ত্রী নগরের মেট্রো পিলার ১৮৫-র সামনে এক ব্যক্তি টাকা লুঠ করে পালিয়েছে। পুলিশে সেখানে গেলে বিপিন কুমার নামে এক গাড়ি চালকের দেখা পায়।
বিপিন পুলিশকে জানান তাঁদের মালিক মনোজ জৈন অফিসের এক কর্মী নিখিল গোস্বামীকে তাঁর সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন একজনের কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা নগদে তুলে আনতে। নগদ টাকা পাওয়ার পর তাঁরা যখন ফিরছিলেন তখন নিখিল তাঁকে শাস্ত্রী নগরে নামিয়ে দিয়ে গাড়ি নিয়ে পালায়।
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে নিখিলের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। স্ত্রী তার সঙ্গে থাকেন না। নিখিলের বাবা মা তাকে আড়াই বছর আগেই ত্যাজ্যপুত্র করেছেন। তাই তাঁদের সঙ্গেও নিখিলের যোগাযোগ নেই।
তবে বাবা মায়ের কাছ থেকে সে গাজিয়াবাদে থাকে বলে জানতে পারে পুলিশ। এরপর শুরু হয় নিখিলের ফোন লোকেশন পরীক্ষা করা।
তার ফ্ল্যাটের সামনে একদিন পর্যবেক্ষণে থাকার পর পুলিশ নিখিলকে গ্রেফতার করে। নিখিল পুলিশকে জানিয়েছে, সে দেনার দায়ে ডুবে ছিল। তাই ওই টাকা দিয়ে সে দেনা কিছুটা মিটিয়েছে।
এছাড়া বোন ভগ্নীপতি এবং প্রেমিকাকে নিয়ে সে হিমাচল প্রদেশের মানালি বেড়াতে গিয়েছিল। সেখানে যে হোটেলে তারা ওঠে সেখানকার প্রতিদিনের ঘর ভাড়া ২৫ হাজার টাকা। পুলিশ নিখিলের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ১৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা