বিয়ের আগের সব পারম্পরিক নিয়ম সম্পূর্ণ। বাকি শুধু ছাদনাতলায় শুভদৃষ্টির পর দুই হাত এক করা। কিন্তু তার আগেই কিছুক্ষণের ব্যবধানে যা ঘটল তা মেগা সিরিয়ালের টানটান ক্লাইম্যাক্সকেও হার মানাবে। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা ত্রিপাঠির সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল অনুভব মিশ্রর। সব ঠিকঠাক। বিয়ের সন্ধেতে বরযাত্রী নিয়ে বর হাজির কনের বিয়েতে। বিয়ের মণ্ডপ আলোয় ঝলমল করছে। চারপাশে অতিথিদের ভিড়। এই সময়ে কনের বাড়ি থেকে ব্যবস্থা করা ডিজে নাগিন ডান্স গান বাজাতে শুরু করে। আর সেই গান কানে আসতেই আচমকা তালে তালে নড়তে শুরু করে হবু বরের পা। গান যত এগিয়েছে ততই পাত্রের নৃত্য উন্মাদনার চরমে পৌঁছেছে। পাত্রের এমন দুরন্ত নাচে তখন তাঁর বন্ধুরাও আত্মহারা। চারপাশে ঘিরে ধরে টাকার বর্ষণ হচ্ছে পাত্রের ওপর। আর পাত্র আত্মহারা হয়ে নেচে চলেছেন। পাত্রীর বাড়ির লোকজন অবাক। গান শেষ হতে আবার সব শান্ত হয়। পাত্র গিয়ে বসেন বিয়ের পিঁড়িতে। এতক্ষণ সব দেখছিলেন কনে। এবার মুখ খুললেন তিনি। সকলকে চমকে দিয়ে জানিয়ে দিলেন এমন অসভ্য পাত্রকে তিনি কিছুতেই বিয়ে করবেন না। সর্বনাশ, বলে কী মেয়ে! সকলে তাঁকে বোঝাতে শুরু করেন। এমনকি গায়ে পড়ে লগ্নভ্রষ্টা হওয়ার চেষ্টা তিনি কেন করছেন তাও বোঝান অনেকে। শুধু পাত্রীর বাড়িই নয়, পাত্রের বাড়ির সকলেও তাঁকে বোঝাতে শুরু করেন। কিন্তু কোনও কিছুতেই টলবার পাত্রী নন ২৩ বছরের প্রিয়াঙ্কা। অবশেষে পাত্রীকে সব চেষ্টা করেও রাজি করানো গেল না। হতাশ হয়ে বর সকলকে নিয়ে বিয়ে না করেই ফিরে গেলেন নিজের বাড়ি। অবশ্য প্রিয়াঙ্কার লগ্নভ্রষ্টা হওয়ায় কোনও সমস্যা হয়নি। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরই তাঁর চোখে ‘সভ্যভব্য’ এক যুবককে বিয়ে করেন এই প্রতিবাদী তরুণী।