বরকে নিয়ে বিয়ে চলাকালীন অন্য সন্দেহ, মাঝপথে বিয়ে ভাঙলেন কনে
বরের বিরুদ্ধে এক ভয়ংকর অভিযোগ এনে বিয়ে চলাকালীন মাঝপথে উঠে গেলেন কনে। ভেঙে গেল বিয়ে। তারপর যা হল তা আরও সাংঘাতিক।
বিয়ের সন্ধে আলোয় আলোয় ঝলমলে। অতিথিদের ভিড়। রয়েছেন বরপক্ষও। বিয়ে শুরু হয়েছে। অনেকেই মণ্ডপের কাছে দাঁড়িয়ে বিয়ে দেখছিলেন।
এই সময় একটি নিয়ম রয়েছে বরপক্ষের তরফে। তাঁরা বাতাসা ছুঁড়বেন কনেপক্ষের দিকে। নেহাতই বিয়ের আচার অনুষ্ঠানের অঙ্গ।
সেটা চলাকালীন আচমকা কনেপক্ষের কয়েকজন মহিলা অভিযোগ করেন যে বরপক্ষের লোকজন তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন। শুরু হয়ে যায় ২ পক্ষে কথা কাটাকাটি।
এর মধ্যে ঘটে আর এক কাণ্ড। আচমকা কনে বিয়ের মাঝেই উঠে পড়েন। তিনি দাবি করেন বর মানসিক ভারসাম্যহীন। আর সেকথা বরপক্ষ লুকিয়ে গেছে তাঁদের কাছে।
তিনি বিয়ে করতে বসে তা বুঝতে পেরেছেন। তাই এই বিয়ে তিনি আর করবেননা। সব মিলিয়ে তুলকালাম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কনেপক্ষের লোকজন বরযাত্রীদের মারধর শুরু করে দেন।
একটি ভিডিও সামনে এসেছে যেখানে দেখা গেছে বরকে চুলের মুঠি ধরে হিঁচড়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন কনেপক্ষের কয়েকজন। বরপক্ষের দাবি তাঁদের ঘিরে ধরে কনেপক্ষের লোকজন মারধর করেছেন। তাঁদের আটকও করে রাখে কনেপক্ষ।
এরমধ্যে সকলের নজর এড়িয়ে বরপক্ষের একজন পুলিশের কাছে হাজির হন। পুলিশ এসে বর সহ বরযাত্রীদের উদ্ধার করে। ২ পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে।
কনেপক্ষের দাবি বর যে মানসিক ভারসাম্যহীন তা লুকোনো হয়েছে, সেইসঙ্গে তাদের পরিবারের মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে বরপক্ষের দাবি তাদের ঘিরে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলার বনপাধার গ্রামে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা