রাজকীয় সম্মানে বিদায় নিল হনুমান, উপচে পড়ল ভিড়
এমনটা মানুষের ক্ষেত্রেও কমই হয়। বিশেষ কোনও মানুষ হলে আলাদা কথা। কিন্তু এক স্থানীয় হনুমান বিদায় বেলায় পেল রাজকীয় সম্মান। সে অবশ্য কিছুই জানল না।
কিছুই জানল না সে। অবশ্য জানলে এত কাণ্ড তাকে নিয়ে হতে দিত কিনা সন্দেহ। তার আগেই হয়তো চম্পট দিত। তবে তাকে রাজকীয় সম্মানেই বিদায় জানালেন স্থানীয় মানুষজন।
হনুমানটির মৃত্যু হয়েছে জানতে পেরে সেখানে হাজির হন বহু মানুষ। তারপর হনুমানের নিথর দেহ তুলে নিয়ে গিয়ে স্নান করানো হয়। সারা গা মুছে দেহটা একটি গেরুয়া বসনে জড়িয়ে দেন সকলে। তারপর দেহটি শুইয়ে দেওয়া হয়।
একটি হাতে টানা গাড়িতে তোলা হয় দেহ। যা সাজানো হয়েছিল হিন্দু রীতি মেনে। এবার শুরু হয় অন্তিমযাত্রা। হনুমানের অন্তিম যাত্রা। যে যাত্রায় অংশ নেন বহু মানুষ।
স্তোত্রপাঠ করতে করতে হনুমানের অন্তিম যাত্রা এগোতে থাকে। পথে বহু মানুষ বেরিয়ে আসেন রাস্তায়। তাঁরা ফুল ছুঁড়তে থাকেন হনুমানের দেহে। বাজতে থাকে মৃত্যু যন্ত্রণায় ভরা করুণ এক সুর। পুরো রাস্তায় স্তোত্রপাঠ ছাড়াও চলে সেই সুর।
শহর থেকে বেরিয়ে একটি জায়গায় হনুমানটির সৎকার সম্পূর্ণ করা হয়। সৎকার যেমন তেমন করে হয়নি। পুরোদস্তুর হিন্দু রীতি মেনে হনুমানের সৎকার করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ঔরেয়া জেলার ফাফুন্দ এলাকায়। প্রসঙ্গত দেশের বিভিন্ন অংশেই হনুমানের মৃত্যুকে অশুভ বলে মনে করা হয়।
প্রভু হনুমান হিসাবেই সব হনুমানকে বিবেচনা করেন বহু মানুষ। তাই হনুমানের মৃত্যুর পর তার সৎকার হয় রীতি মেনে, চোখের জলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা