মাটির তলায় চাপা ছিল এক প্রাচীন গয়না, ধাতু দেখে বাকরুদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিকরা
খননকার্যের হাত ধরে কত অজানা তথ্যই এখন বিজ্ঞানীদের জানা হয়ে গেছে। পুরাকালকে জানার খিদে থেকে এখনও খননকার্য চলছে। যা এখনও অবাক করে চলেছে প্রত্নতাত্ত্বিকদের।
বিভিন্ন প্রান্তে খননকার্য চালিয়ে অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনই হাতে এসেছে। যা বারবার অবাক করেছে গবেষকদের। ফের একবার তাঁরা হতবাক হয়ে গেলেন। অবাক হলেন মাটির তলা থেকে এমন এক গয়নার খণ্ড বার হল তা দেখে।
ব্রেসলেট জাতীয় জিনিসটি বার হল মাটির ১৭০ সেন্টিমিটার তলা থেকে। ব্রেসলেটটি কিন্তু সম্পূর্ণ পাওয়া যায়নি। ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে।
গবেষকেরা বলছেন ব্রেসলেটটির ৪ ভাগের এক ভাগ মাত্র তাঁরা পেয়েছেন। ৪.৯ সেন্টিমিটার চওড়া ৪ মিলিমিটার পুরু ব্রেসলেটটি কিন্তু একটি ধাতু দিয়ে তৈরি হয়নি। সোনা এবং তামা, এই ২ ধাতুর মিশ্রণে তৈরি হয়েছে ব্রেসলেটটি।
তামিলনাড়ুর গঙ্গাইকোণ্ডাচোলাপুরম এলাকার মালিগাইমেদুতে ২০২১ সালেই খনন শুরু হয়েছিল। সেখানেই খননকার্য চলাকালীন এই গয়না পাওয়া যায়।
এই প্রথম এখান থেকে কোনও গয়না পাওয়া গেল। এর আগে পাওয়া গিয়েছে তামার মুদ্রা, হাতির দাঁতের জিনিস, লোহার পেরেক, সাজানো পাথর এবং পোরসেলিনের জিনিসপত্র। এগুলি সবই ১ হাজার বছরের বেশি পুরনো।
ওই এলাকায় তখন চোলদের রাজত্ব ছিল। গবেষকরা মনে করছেন চোল রাজা প্রথম রাজেন্দ্র চোল-এর সময়ের এইসব জিনিসপত্র এবং সদ্য পাওয়া গয়না।
গবেষকদের মতে চোলরা যথেষ্ট সমৃদ্ধশালী ছিলেন। সে সময় যে তাঁদের চিনের সঙ্গেও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল তা পোরসেলিন থেকেই পরিস্কার বলে মনে করছেন তাঁরা। ওই জায়গায় খনন চালিয়ে আরও অজানা তথ্য হাতে আসতে পারে বলে মনে করছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা