ছাত্রদের লাইন করে বসিয়ে সকলের চুল কেটে দিলেন হেডস্যার
স্কুলের সামনেই রয়েছে মাঠ। সেখানেই স্কুলের ৮৪ জন ছাত্রকে আলাদা করে তাদের চুল কেটে দিলেন হেডস্যার। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছাত্রদের অভিভাবকরা।
সকালে যেমন প্রার্থনা হয় তেমনই হয়। তখনও কেউ কিছু বুঝতে পারেনি। প্রার্থনার পর হেডস্যার বেছে বেছে ৮৪ জন ছাত্রকে আলাদা করে মাঠের ধারে দাঁড়াতে বলেন। তারপর তাদের হাঁটু গেড়ে বসতে বলেন।
হেডস্যারের নির্দেশ মেনে হাঁটু গেড়ে বসে ৮৪ ছাত্র। এরা প্রত্যেকেই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। হেডস্যার কি চাইছেন তা তারা তখনও আন্দাজ করতে পারেনি।
এদিকে হেডস্যার এদের হাঁটু গেড়ে বসিয়ে তাদের চুল কেটে দিতে থাকেন। ছাত্রদের দাবি, তারা হেডস্যারের কাছে অনুরোধ করে যে তাদের যেন এবারের মত ছেড়ে দেওয়া হয়। তারা পরদিন ঠিক করে চুল ছেঁটে আসবে। কিন্তু হেডস্যার তাদের কথায় কানও দেননি।
হেডস্যার রাজেশ যাদবের এই পদক্ষেপের পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। তাঁরা স্কুলের গেটের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখান। কিন্তু তাঁর সহকর্মীদের পাশে পেয়েছেন হেডস্যার।
হেডস্যার জানিয়েছেন, ওই ছাত্ররা চুল কাটে না। তারা চুল বড় করে ফ্যাশন করছে। অনেক ছাত্রের বড় চুলের সঙ্গে চুলে নানা রংও করা।
চুল বড় করে এভাবে স্কুলে না আসতে তাদের একাধিকবার বলা হয়েছে। তাদের অভিভাবকদেরও বারবার ডেকে বলা হয়েছে তাঁরা যেন সন্তানদের চুল ঠিক করে কেটে স্কুলে আসতে বলেন।
কিন্তু কেউই কর্ণপাত করেননি। তাই বাধ্য হয়েই এবার কড়া পদক্ষেপ করতে হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হাপুরের মারওয়ার ইন্টার কলেজ স্কুলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা