৭০০ বছরে কখনও মদ ছুঁয়ে দেখেননি এ গ্রামের মানুষ
মদ্যপান অনেকে করেননা। আবার অনেকে করেনও। সারা বিশ্বেই মদ্যপানের একটা প্রবণতা লক্ষণীয়। কিন্তু এ গ্রামে জন্ম নেওয়া প্রজন্মের পর প্রজন্ম জানেনা মদের স্বাদ কেমন।
মদ জিনিসটা যে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক তা সকলের জানা। তা সত্ত্বেও অনেকেই মদ্যপান করে থাকেন। কেউ নিয়মিত পান করেন। কেউবা অনুষ্ঠানে, পার্টিতে। কেউ আবার মাঝেমধ্যে ইচ্ছা হলেই মদিরায় গলা ভেজান। কিন্তু ভারতে এমন একটা গ্রাম রয়েছে যেখানকার মানুষজন গত ৭০০ বছরে মদ ছুঁয়ে দেখেননি। বরং মদ্যপানকে অত্যন্ত গর্হিত কাজ বলেই মনে করেন তাঁরা।
এ গ্রামে বাবা কোকিলচাঁদই ঈশ্বর হিসাবে পূজিত হন। তিনি ৩টি বিষয় মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছিলেন শত শত বছর আগে। মদ্যপান থেকে বিরত থাকা, নারীকে উপযুক্ত সম্মান দেওয়া এবং খাবারকে সম্মান করা। বাবার এই ৩ উপদেশ আজও অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয় এ গ্রামে।
বিহারে ২০১৬ সাল থেকে নীতীশ কুমার সরকার মদ্যপান এবং মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করে। ফলে এখন বিহারে মদ কেনা বা পান করা অপরাধ। কিন্তু বিহারের জামুই জেলার গঙ্গারা গ্রামের মানুষজন গত ৭০০ বছরে মদ ছুঁয়েও দেখেননি।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এ গ্রামের মানুষ এ নিয়ম মেনে চলেছেন। মাঝে একবার কয়েকজন গ্রামবাসী এই নিয়মকে কুসংস্কার বলে উড়িয়ে দিয়ে মদ্যপানের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁরা মদ্যপানের পরই তাঁদের পরিবারের সঙ্গে ভয়ংকর সব ঘটনা ঘটতে থাকে। তারপর থেকে কেউ আর এই বিপ্লব দেখানোর সাহস করেননি।
এখনও এ গ্রাম থেকে যাঁরা বাইরে পড়াশোনা বা চাকরি করতে যান তাঁরাও জীবনে মদ ছোঁন না। এ গ্রামে এখন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষের বাস। এঁরা সকলে মদ্যপানকে ভয় পান। অপরাধ মনে করেন।
এমনকি গ্রামের নিয়ম হল কেউ যদি গ্রামের বাইরে গিয়ে কখনও মদ স্পর্শ করেন তাহলে তাঁর আর সারা জীবনে কখনও গ্রামে প্রবেশের অনুমতি মিলবে না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা