পার্কে পুলিশের ওপর হামলায় ২ জন আইসিইউতে, তবু হামলাকারীদের গ্রেফতার অসম্ভব
পার্কের চত্বরে বিশেষ কারণে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। আচমকাই তাদের ওপর আক্রমণ নেমে আসে। অবশ্য এটা ছিল একটু অন্যরকম আক্রমণ।
পার্কে একাধিক সংগঠন জমায়েতের ডাক দিয়েছিল। ফলে পুলিশ তৎপরতায় খামতি রাখেনি। মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশকর্মী। যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা না ছড়ায়।
কিন্তু সেই পার্কে কিছুক্ষণের মধ্যেই যারা বিশৃঙ্খলা ছড়াল তাদের গ্রেফতার করা পুলিশের কম্ম নয়। পুলিশের এক্তিয়ারেও হয়তো পড়ে না।
তখন জমায়েত শুরু হতে চলেছে। সংগঠনগুলির সদস্যরা সেখানে ভিড় জমিয়েছিলেন। এমন সময় পুলিশকর্মীদের দিকে ধেয়ে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি।
পুলিশকর্মীরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। অনেকেই মৌমাছির হুলে কাবু হয়ে মেঝেতে পড়ে ছটফট করতে থাকেন। কেউ ছুটতে থাকেন।
শুধু পুলিশকর্মীরা বলেই নন, জমায়েতে হাজির সংগঠনের সদস্যের ওপরও হামলা করে মৌমাছিরা। মৌমাছিদের আক্রমণে চত্বর জুড়ে এক আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। মৌমাছিদের এড়িয়ে পালানোও ছিল অসম্ভব।
পরে মৌমাছিরা আক্রমণ চালিয়ে বিদায় নিলে দেখা যায় ১০ জন পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা বেশ খারাপ। তাঁদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাঁদের পরিস্থিতি দেখে চিকিৎসকেরা তাঁদের আইসিইউতে রেখে পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নেন। বাকি ৮ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
পার্কে উপস্থিত অন্যদের বেশ কয়েকজনও হুলে বিদ্ধ হয়েছেন। তবে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরু ফ্রিডম পার্কে। কেউ মৌমাছির চাকে কোনও কিছু করেছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা