National

ভাতে টান, অরণ্যের বাইরে বেরোতে মরিয়া গ্রামবাসীরা

অরণ্যের শান্তি আর কোথায়! সেই অরণ্যই ওঁদের জন্য হয়ে উঠেছে অভিশাপ। অভয়ারণ্যের ঘেরাটোপ কেড়েছে ভাতের জোগানটুকুও। তাই অরণ্যের বাইরে বার হতে মরিয়া তাঁরা।

একেই হাতে কাজ নেই, এই অবস্থায় অভয়ারণ্যের অন্তর্গত হওয়ায় জারি বেশ কিছু বিধিনিষেধ। এর জেরে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমবে। এমনকি এলাকায় গড়ে তোলা যাবে না ক্ষুদ্রশিল্পও। কারণ সরকারি বিধিনিষেধ।

এনিয়ে আপত্তি তুলেছেন স্থানীয় ৫টি গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামগুলি গঙ্গা সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। ওই ৫টি গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, অভয়ারণ্যের সীমানার অন্তর্গত করা যাবেনা গ্রামগুলিকে।


বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে হস্তিনাপুর অভয়ারণ্যকে ঘিরে। ভাতে টান পড়ার আশঙ্কায় হস্তিনাপুর অভয়ারণ্যের সীমানা থেকে বাদ পড়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ওই ৫টি গ্রামের বাসিন্দারা।

এই ৫টি গ্রামের ভিতর একটি গ্রামের নাম রাভালি। এই গ্রামের বাসিন্দা বিজেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, খরস্রোতা গঙ্গার ভাঙনে কৃষিজমি তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গাগর্ভে। তাঁদের পক্ষে এখন খাবার জোটানোটাই কঠিন হয়ে উঠেছে।


এদিকে বন দফতর তাঁদের গ্রামটি অভয়ারণ্যের অন্তর্গত করার কারণে নানা বিধিনিষেধের ফলে গ্রামবাসী অসহায় পরিস্থিতিতে দিন গুজরান করছেন। তাছাড়া বছরের পর বছর ওই এলাকায় কোনও শিল্পও গড়ে উঠেনি। গ্রামবাসীদের অভিযোগের তির বন দফতরের দিকে।

এদিকে বন দফতরের তরফে বিজনৌরের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার সাফ জানিয়েছেন, হস্তিনাপুর অভয়ারণ্যের অন্তর্গত এলাকা থেকে ওই ৫টি গ্রামকে বাদ দেওয়া কোনওমতে সম্ভব নয়।

হস্তিনাপুর অভয়ারণ্য ২ হাজার ৭৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। এই অভয়ারণ্যের অন্তর্গত জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে বিজনৌর, মুজফ্ফরনগর, আমরোহা, মেরঠ এবং হাপুর জেলার গঙ্গাপাড়ের ২ দিকের এলাকা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button