পাহাড় ডিঙিয়ে প্রাণ হাতে করে কাপড়ে ঝুলিয়ে প্রাণ বাঁচাতে হয় মানুষের
দেশের যে প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে আদিবাসীরা বসবাস করেন আধুনিক জীবনযাপনের জন্যে পরিষেবাগুলি সেখানে অনুপস্থিত আজও। এক চরম পরিস্থিতির মধ্যেই প্রাণ হাতে করে প্রাণ বাঁচাতে হয় মানুষের।
স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান পালিত হচ্ছে দেশজুড়ে। কিন্তু প্রদীপের নিচে অন্ধকারের মতো এদেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন।
স্বাধীনতা লাভের পর দশকের পর দশক ধরে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন লাগাতার বঞ্চনার শিকার। দেশের যে প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে আদিবাসীরা বাস করেন আধুনিক জীবনযাপনের জন্যে জরুরি পরিষেবাগুলি সেখানে অনুপস্থিত আজও।
এরই একটি সাম্প্রতিক নমুনা মিলল তামিলনাড়ুর আন্নামালাই টাইগার রিজার্ভ সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায়। এই এলাকায় পাহাড়ের ওপর আদিবাসীদের বসবাস।
৫৪ বছরের এক আদিবাসী মহিলা সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিলনা। এদিকে অ্যাম্বুলেন্সও এখানে অমিল। এই পরিস্থিতিতে কাপড়ের দোলায় বয়ে এনে ওই অসুস্থ মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
পাহাড়ি পথ পিছল। তাছাড়া খানাখন্দে ভর্তি। এভাবে রোগীকে দোলায় চাপিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে নামাটা যে বিপজ্জনক তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের সামনে অন্য কোনও পথ ছিলনা।
এলাকায় বসবাসকারী আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের আরও অভিযোগ, বহু বছর ধরে এখানে আধুনিক রাস্তাঘাট তৈরির ব্যাপারে কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি।
বন দফতরও এ ব্যাপারে কোনও গা করছেনা। এদিকে বন দফতরের বক্তব্য, টাইগার রিজার্ভের অন্তর্গত এই এলাকায় রাস্তা নির্মাণের কাজ করা একরকম অসম্ভব। ফলে আগামী দিনগুলিতেও পরিস্থিতি বদলানোর কোনও আশা নেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা