মৃত পিতার চাকরি পাবেন বিবাহিত কন্যাও, এক রাজ্যের সিদ্ধান্তের পথেই কি অন্য রাজ্যও
এতদিন পর্যন্ত কর্মরত অবস্থায় মৃত পিতার চাকরি পাওয়ার অধিকার ছিলনা বিবাহিত কন্যার। একটি রাজ্যে এবার থেকে সেই অধিকার পাবেন বিবাহিত কন্যাও।
বাংলার প্রসিদ্ধ কবি জীবনানন্দ দাস লিখেছেন, পৃথিবীতে নেই কোনও বিশুদ্ধ চাকরি। সত্যিই তাই! তবে বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে চাকরিই অমিল। দেশজুড়ে তীব্র বেকারত্ব গত ২ বছরে আরও প্রকট হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে রাজস্থান সরকারের তরফে একটি সুখবর জানানো হয়েছে। চাকরি করাকালীন যদি বাবার মৃত্যু হয় সেক্ষেত্রে বাবার চাকরিটা পেতে পারেন বিবাহিত কন্যা।
তবে এই নিয়ম কেবলমাত্র বজায় থাকছে রাজস্থান স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনে। বিবাহিত কন্যা যাতে কর্মরত অবস্থায় বাবার মৃত্যুর পরে তাঁর চাকরিটা পান এ ব্যাপারে একটি প্রস্তাব রাজ্যসরকারের কাছে পেশ করা হয় রাজস্থান স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের তরফে। ওই প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে রাজস্থান সরকার।
এই নতুন নিয়মের ফলে রাজস্থান রোডওয়েজে চাকরি পেতে চলেছেন ৩৫ জন বিবাহিত নারী। রাজস্থান রোডওয়েজের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে বিচার্য ছিল বিবাহিত কন্যারা কর্মরত অবস্থায় বাবার মৃত্যুর হলে বাবার চাকরিটা পাবেন কিনা। সেই সমস্যার জট অবশেষে খুলল।
তবে রাজস্থান স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনে এতদিন পর্যন্ত এক্ষেত্রে চাকরি পাওয়ার অধিকারী ছিলেন পুত্র সন্তান, দত্তক নেওয়া পুত্র সন্তান থেকে শুরু করে মৃত ব্যক্তির অবিবাহিত কন্যা, বিবাহবিচ্ছিন্না অথবা বিধবা কন্যাও।
এরপর রাজস্থান স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনে মৃত পিতার চাকরি পাওয়ার অধিকারিণী হিসেবে বিবাহিত মেয়েদের সুযোগের যে অধিকার রাজ্যসরকার অনুমোদন করল তা নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যকে আরও একধাপ এগিয়ে দিল। সেইসঙ্গে দেশের অন্য রাজ্যগুলিকেও একটি পথ দেখাল। এখন দেখার যে অন্য রাজ্যগুলিও মরুরাজ্যের পথ অনুসরণ করে কিনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা