বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়, দোলের সকাল কি বৃষ্টিতে ভিজবে?
বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে একটি নিম্নচাপ। যার হাত ধরে শক্তি বাড়াচ্ছে আদপে একটি ঘূর্ণিঝড়। স্বভাবতই চিন্তায় এ রাজ্যের বাসিন্দারা।
বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে একটি নিম্নচাপ। ক্রমশ গভীর নিম্নচাপের চেহারা নিয়ে সেটি শেষমেশ একটি ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে চলেছে। এ বছরে এটাই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলা প্রথম ঘূর্ণিঝড়। আর বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় মানেই পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়া।
আম্ফান, যশ দেখে অভ্যস্ত এ রাজ্যের মানুষের জিজ্ঞাসা আগে মে মাসে এমন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছিল। এখন মার্চ থেকেই শুরু হয়ে গেল?
আবহাওয়া দফতর পরিস্কার করে দিয়েছে কোথায় কবে কতটা প্রভাব ফেলবে এই ঘূর্ণিঝড়। পশ্চিমবঙ্গেই বা তার প্রভাব কি তাও জানিয়েছেন আবহবিদেরা।
আপাতত নিম্নচাপটি মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। সেটি ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে। যা ঘূর্ণিঝড় হয়ে আছড়ে পড়বে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে আগামী ২১ মার্চ সেটি ঘূর্ণিঝড় হয়ে আছড়ে পড়বে।
যা প্রবণতা তাতে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ হয়ে মায়ানমারে পৌঁছবে। তার আগে ১৮ মার্চ, অর্থাৎ দোল এবং হোলির সকালে প্রবল বৃষ্টি হতে চলেছে নিকোবর দ্বীপে।
ফলে দোলের সকালে ঝলমলেই থাকবে পশ্চিমবঙ্গের আকাশ। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আবার ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়ে যাওয়ার পরও এ রাজ্যের ওপর কোনও দুর্যোগের ঘনঘটা হবে না। এমনই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়টি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ হয়ে ক্রমশ বাংলাদেশ হয়ে উত্তর মায়ানমারের দিকে চলে যেতে চলেছে। ফলে ঘূর্ণিঝড় জন্ম নিচ্ছে ঠিকই তবে তার জন্য বাংলায় ঝড় বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা