নির্বাচনী প্রচারের খরচ তুলতে তাঁকে বেচতে চাইছে স্বামী, পুলিশের কাছে স্ত্রী
স্বামী চেষ্টা করে পায়নি। কিন্তু তিনি পেয়েছিলেন ভোটে লড়ার সুযোগ। এবার তাঁর প্রচারের খরচ তুলতে তাঁকেই বেচে দিতে চাইছে স্বামী। অভিযোগ নিয়ে পুলিশের কাছে স্ত্রী।
স্বামী ভোটে লড়তে প্রচুর চেষ্টা করেও টিকিট পায়নি। তার অভিযোগ যে ভোটের টিকিট পেতে সে মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করেছে। টিকিট না পাওয়ায় তার পুরো টাকাটাই কার্যত জলে গিয়েছে।
ওই ব্যক্তির স্ত্রী নির্বাচনে একটি রাজনৈতিক দলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরপর ফলপ্রকাশের দিন হয় নাটকের সূত্রপাত।
পুলিশ অভিযোগ পেয়ে একটি এফআইআর দায়ের করলেও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। অভিযুক্ত স্বামী যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ওই মহিলা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, স্বামীর কারসাজিতে তিনি একাধিক পুরুষের লালসার শিকার হয়েছেন নিজের বাড়িতেই।
পুলিশের দ্বারস্থ হওয়া ওই মহিলা একটি ক্লিনিক চালান। অভিযোগ, ভোট গণনার পর তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসে স্বামীর এক বন্ধু। সে বলে, ওই মহিলার স্বামীই তাকে তাঁর কাছে পাঠিয়েছে।
এরপর ওই ব্যক্তি মোটা টাকা দাবি করে জানায়, ওই মহিলার স্বামী স্ত্রীকে নির্বাচনে জেতানোর জন্য মোটা টাকা খরচ করেছে। কিন্তু তিনি হেরে যাওয়ায় ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
ওই মহিলা এও অভিযোগ করেছেন, তাঁকে তাঁর স্বামী জানিয়েছে নির্বাচনী প্রচারে বিপুল খরচ হয়েছে। তিনি যদি এই টাকা স্বামীকে ফেরত না দিতে পারেন তাহলে তাঁকে বেচে এই টাকা জোগাড় করে নেওয়া হবে। মহিলার অভিযোগ, এই ঘটনার কথা শ্বশুরবাড়িতে জানিয়েও কাজ হয়নি। উল্টে তিনি হেনস্থার শিকার হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে ওই মহিলা তাঁর স্বামী এবং অন্য ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও কেউ এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা