মাইনের পুরোটাই চাই, রোজগেরে স্ত্রীকে হত্যা করল স্বামী ও দেওর
মনগড়া গল্প কাজে এল না। ময়নাতদন্তের রিপোর্টই পুলিশকে রাস্তা দেখাল। জেরার মুখে সব কথা স্বীকার করল স্বামী ও দেওর।
চাকরি করে মাইনের পুরো টাকাটা তার হাতে তুলে দিতে হবে। এই দাবি ছিল স্বামীর। এ নিয়ে সাংসারিক অশান্তিও চরমে উঠেছিল। যার পরিণতি হল ভয়াবহ।
সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন বছর ৩৩-এর ওই মহিলা। ১০ দিন ধরে গুলবাহার নামে ওই শিক্ষিকার হদিশ মিলছিল না। অবশেষে তাঁর দেহ গঙ্গার খাল থেকে উদ্ধার হয়। সেখানেই দেহ ফেলে যায় হত্যাকারীরা।
গুলবাহারের স্বামী এবং দেওরকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানাচ্ছে গুলবাহারকে নৃশংসভাবে খুনের পর তাঁর দেহ গাড়িতে চাপিয়ে আনা হয় গঙ্গার খালের কাছে। এরপর গাড়িটি ১৬ মিটার গভীর খালের দিকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়।
গুলবাহারকে প্রতিদিন গাড়িতে করে স্কুলে পৌঁছে দিত তাঁর দেওর নাভেদ আহমেদ। নাভেদ কয়েকদিন থেকে মনগড়া গল্প বলছিল। গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটেছিল বলে দাবি করছিল সে।
নাভেদ জানিয়েছিল, নিয়ন্ত্রণ হারানো গাড়ি থেকে সে কোনওক্রমে লাফ দিয়ে প্রাণ রক্ষা করে। কিন্তু গুলবাহারের দেহের ময়নাতদন্তে পুলিশ জানতে পারে মৃতার পেটে কোনও জল বা বালি পাওয়া যায়নি। পুলিশ নিশ্চিত হয় জলে ডুবে গুলবাহারের মৃত্যু হয়নি। অবশেষে পুলিশের জেরার সামনে সত্যিটা সামনে আসে।
পুলিশি জেরায় গুলবাহারের স্বামী ও দেওর ২ জনেই খুনের কথা স্বীকার করেছে। দেওর নাভেদ জানিয়েছে, তার দাদা ও বৌদির মধ্যে টাকাকড়ি নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা লেগে থাকত। সেদিনও গোলমাল হচ্ছিল। এক সময় মাথা গরম হয়ে যাওয়ায় বৌদিকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে তারা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা