অন্ধকার দমবন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার কয়েক হাজার মুনিয়া, ময়না
তাদের অন্ধকার ঘরে রাখা হয়েছিল। এমন ঘর যেখানে সামান্য অক্সিজেনটুকুও নেই। তেমন জায়গা থেকে উদ্ধার হল কয়েক হাজার মুনিয়া, ময়না।
অন্ধকার ঘরে দমবন্ধ অবস্থা। সেখানেই আটকে রাখা হয়েছিল কয়েক হাজার মুনিয়া, ময়না, তোতা পাখিকে। একটা খাঁচার মধ্যে গাদাগাদি অবস্থায় রাখা হয়েছিল তাদের। ফলে সেখান থেকে মুক্তি পাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ ছিল।
পুলিশের কাছে খবর আসে যে মুনিয়া, ময়না এবং তোতা পাখিদের ছোট একটি খাঁচায় গাদাগাদি করে অন্ধকার ঘরে রেখে দেওয়া হয়েছে। যেখানে তারা বাঁচার লড়াই চালাচ্ছে।
পুলিশ খবর পেয়ে আচমকাই হানা দেয় দিল্লির জামা মসজিদ এলাকার কবুতর মার্কেটে। সেখানেই একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় পাখিগুলি। এরমধ্যে এমনও একটি কার্ডবোর্ডের বাক্স পাওয়া গেছে যার মধ্যে অনেক টিয়াপাখি ঠেসে ঢোকানো ছিল।
বাক্স খোলার পর দেখা যায় বেশ কয়েকটি টিয়া দমবন্ধ হয়ে মারা গেছে। কয়েকটির অবস্থাও শোচনীয়। এছাড়া খাঁচাবন্দি ময়না, মুনিয়া বা তোতা পাখিরা এতটাই গাদাগাদি করে অপরিসর খাঁচায় ছিল যে তাদেরও মৃত্যু হতে পারত।
এই পাখিগুলি কিন্তু সংরক্ষিত প্রজাতি হিসাবেই নথিভুক্ত। এদের এভাবে ধরে রাখা বেআইনি। এভাবে এই পাখিদের আটকে রাখার শাস্তিও নেহাত কম নয়। দোষী সাব্যস্ত হলে ৩ বছর থেকে ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে।
আপাতত উদ্ধার হওয়া পাখিগুলি বন দফতরের হেফাজতে রয়েছে। দফতরের পর্যবেক্ষণে রাখার পর সুস্থ করে প্রকৃতির মাঝে ছেড়ে দেওয়া হবে তাদের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা