কিশোরীকে অপহরণ করে লাগাতার গণধর্ষণ, টালবাহানার পর শুরু তদন্ত
অজ্ঞাত জায়গায় আটকে রেখে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মোট ৫ জন। নির্যাতিতার বাবার দাবি স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলেও তারা এফআইআর নেয়নি।
এক কিশোরীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় থানায় নির্যাতিতার বাবা অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। এমনই এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এল। সম্প্রতি ওই কিশোরীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
ঘটনার পর ওই কিশোরীকে অভিযুক্তরা গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় ছেড়ে দিয়ে পালায়। নির্যাতিতা কিশোরী বাড়ি ফিরে তার বাবা মাকে ঘটনাটি সম্পর্কে বিশদে জানায়। এরপর স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে গণধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগ থানা নেয়নি বলে জানিয়েছেন ওই কিশোরীর বাবা।
পরে বিষয়টিতে ঊর্ধ্বতন প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে। এসডিপিও জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে। ঘটনাটি বিহারের সুপৌল জেলার।
৩ দিন ধরে ৫ যুবক ওই কিশোরীকে টানা গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। গত ১৯ মার্চ নির্যাতিতাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত কোনও জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছে ওই কিশোরী। সেখানে টানা ৩ দিন তার ওপর অত্যাচার চালানো হয় বলে তার অভিযোগ।
ওই কিশোরী জানিয়েছে অভিযুক্তরা ঘটনার ছবি তুলে রাখে। তাকে হুমকি দেওয়া হয় কাউকে কিছু বললে ছবিগুলি অভিযুক্তরা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দেবে।
পুলিশকে দেওয়া নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী বেচান ঠাকুরের ছেলে জয়দীপ ঠাকুর ও তার ৪ বন্ধু তাকে অপহরণ করে। এরপর কোনও এক অপরিচিত জায়গায় অভিযুক্ত ৫ জন তাকে নিয়ে যায়। সেখানে ৩ দিন ধরে তাকে গণধর্ষণ করা হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা