প্রতারণার নতুন ছক যুগলের, যুবক গ্রেফতার হলেও পলাতক বান্ধবী
প্রতারণার নতুন নতুন ধরণ খুঁজে বার করে প্রতারকেরা। তেমনই এক অভিনব প্রতারণার ছক সামনে এল। এক যুবক গ্রেফতার হলেও তার বান্ধবী এখনও পুলিশের নাগালের বাইরে।
এক ব্যক্তি ও তার বান্ধবীর বিরুদ্ধে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এবং প্রাইভেট জেট বুকিং করিয়ে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হলেও তার বান্ধবী পলাতক। পুলিশ তার খোঁজে নানা জায়গায় হানা দিচ্ছে।
একটি ভুয়ো পোর্টাল খুলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও প্রাইভেট জেট বুকিংয়ের নামে ওই ব্যবসায়ী এবং তার বান্ধবী গত ৪ বছরে ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে ওই টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। পোর্টালের মাধ্যমে টাকা আদায় করার পরে প্রতারিতদের ব্লক করে দিত ২ অভিযুক্ত।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত নভদীপ সান্ধু দিল্লির তিলক নগরের বাসিন্দা। প্রতারণায় অভিযুক্ত নভদীপের বান্ধবী প্রভদীপ কউরও। ঘটনাটির তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ।
প্রতারণা দীর্ঘদিন ধরে চললেও গত ৫ ফেব্রুয়ারির একটি ঘটনা সবকিছু পরিস্কার করে দিয়েছে। মনু অরোরা নামে শাহদারার এক বাসিন্দা সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ জানান যে তিনি গুয়াহাটি থেকে হায়দরাবাদের জন্যে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স খুঁজছিলেন। এজন্যে তিনি ৪ লক্ষ ২৪ হাজার ৫০০ টাকা জমা করেছেন। কিন্তু নভদীপ এবং প্ৰভদীপ লাগাতার নানা অজুহাত দিয়ে যাচ্ছিল। টাকাও ফিরিয়ে দিতে নারাজ ছিল তারা। পরে ফোনও ধরা বন্ধ করে দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাঙ্ক ডিটেলস খতিয়ে দেখে প্রভ চার্টার সার্ভিসেস লিমিটেড নামে একটি সংস্থার হদিশ মেলে। যার মালিক পরদীপ সিং এবং জগরূপ কউর। পরদীপ নভদীপের বাবা এবং জগরূপ অভিযুক্ত বান্ধবীর মা। তবে ওয়েব পোর্টাল চালানো হচ্ছিল নভদীপ এবং প্রভদীপের নামে।
এর আগেও দিল্লির তিলক নগর থেকে প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার হয়েছে নভদীপ ও তার বান্ধবী প্রভদীপ। জেরায় নভদীপ জানিয়েছে আইনি ঝামেলা এড়িয়ে সন্দেহমুক্ত থাকতে তারা বাবা মায়ের নামে সংস্থাটি খুলেছিল। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে ১০ থেকে ১৫ জনকে এরা তাদের প্রতারণার শিকার করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা