বিয়ের মঞ্চে কনেকে উপহারে দেওয়া হল বুলডোজার
বিয়েতে নানা জিনিস উপহার হিসাবে হাতে তুলে দেওয়া হয় নববধূর। কিন্তু কেউ কখনও এমন উপহার বোধহয় পাননি। যা দেখে হতবাক সকলেই।
বিয়ের আয়োজনে ত্রুটি ছিলনা। ছিলনা জাঁকজমকেও। চারিদিক আলো ঝলমল। বহু অতিথি আগমনে বিয়ের আসর গমগম করছে। সেখানেই ৯ জোড়া পাত্রপাত্রীর চারহাত এক হল। বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন তাঁরা। সদ্যবিবাহিত যুগলদের জন্য আয়োজকদের তরফে যথেষ্ট উপহার রাখা ছিল।
৯ সদ্য দম্পতির হাতে তাঁরা তুলে দেন সংসার শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। সঙ্গে ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিস। সব আয়োজন খুব গুছিয়ে করা হয়েছিল যাতে সংসার জীবনে পা দিয়ে তাঁদের কোনও সমস্যা না হয়।
তবে এসব উপহার দেখে সকলেই অভ্যস্ত। কিন্তু একটা উপহারে সকলের চোখ আটকে যায়। কারণ নবদম্পতিদের যেসব উপহার দেওয়া হয় তার মধ্যে ছিল একটি করে খেলনা বুলডোজারও। অবশ্যই প্রতীকী ভাবেই তা তুলে দেওয়া হয়।
এই গণবিবাহের আয়োজন হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের কাটরায়। রাজ্যে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছেন যোগী আদিত্যনাথ। দ্বিতীয় বারের জন্য তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।
এবার তাঁর জয়ের জন্য তাঁর বুলডোজার নীতিকেই সামনে রাখছেন বিশেষজ্ঞেরা। প্রথম ৫ বছরে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে মাফিয়া এবং অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি স্রেফ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। যা রাজ্যে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা নিয়েছে বলে মনে করছেন সেখানকার বহু মানুষ। ফলে যোগী আদিত্যনাথের এখন উত্তরপ্রদেশে নতুন নাম বুলডোজার বাবা।
বুলডোজার উত্তরপ্রদেশের মানুষের কাছে এক প্রতীক হয়ে উঠছে। প্রশাসনের দাবি, বুলডোজার হল উত্তরপ্রদেশের মহিলাদের সুরক্ষা ও রাজ্যের উন্নয়নের প্রতীক। তাই সেই বুলডোজার প্রতীকী অর্থে ওই বিবাহ অনুষ্ঠানে প্রত্যেক নববধূর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যা পেয়ে বেজায় খুশি ৯ সদ্যবিবাহিতা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা