শরীরের যেখানে সেখানে শিক্ষকের আপত্তিকর ছোঁয়া, লজ্জায় বার্নিশ খেল কিশোরী
মেয়ের কথায় গুরুত্ব দেননি বাবা মা। মেয়ের অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়ার জায়গায় তাকেই বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন এমনটা হতে পারেনা। ফল হল উল্টো।
স্কুলের প্রৌঢ় শিক্ষক তার শ্লীলতাহানি করেছে বলে অভিভাবকদের কাছে অভিযোগ জানায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী। ওই শিক্ষকের বয়স ৫৫ বছর এবং নির্যাতিত ছাত্রীর বয়স ১৩ বছর।
ঘটনাটি তামিলনাড়ুর ভেলোর জেলার। পুলিশ জানিয়েছে, ১৩ বছরের ওই ছাত্রী বিষয়টি তার বাবা মাকে জানালেও তাঁরা অভিযোগ গ্রাহ্য করেননি।
উপরন্তু তাঁরা ওই কিশোরীকে এও বলেন, দাদুর বয়সী ওই শিক্ষক সম্পর্কে সে যা ভাবছে তা ঠিক নয়। এরপর অবসাদগ্রস্ত হয়ে ১৩ বছরের ওই কিশোরী বাড়িতে রাখা বার্নিশ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম ডি মুরলীকৃষ্ণ। পুলিশ জানিয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে ওই শিক্ষক সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে লাগাতার অশালীন ব্যবহার করছিল। আপত্তিজনক ভাবে তার শরীর স্পর্শ করছিল। ওই ছাত্রী এ ব্যাপারে তাকে সতর্ক করলেও তাতে কাজ হয়নি।
হতাশার জেরে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করার পরে ওই ছাত্রীকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই কিশোরীর অবস্থা স্থিতিশীল। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা