চুরি করতে এসে মাতাল হয়ে সোফায় ঘুমিয়ে পড়ল চোর
চুরি করা উঠল লাটে। মাতাল হয়ে চোর সটান হয়ে শুয়ে পড়ল সোফায়। তারপর নিশ্চিন্তে পড়ল ঘুমিয়ে। ঘটনাক্রমে যা হওয়ার তাও হল।
নিশুতি রাতে গোটা পাড়া তখন নিদ্রামগ্ন। এমন রাতই তো চায় চোররা। রাতের অন্ধকারে ছায়ামূর্তির মত এক চোর বার হয় চুরি করতে। তারপর দেখেশুনে একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে সে।
বাড়িতে কৌশলে এমনভাবে ঢোকে সে যে বাড়ির বাসিন্দারা কেউ টেরও পাননি তার উপস্থিতি। পাকা হাতের কাজ সেরে চোর ঢুকে পড়ে বাড়ির অন্দরে।
বাড়িতে ঢুকে এবার চুরি করার পালা। কি চুরি করা যায়? তার খোঁজ করতেই চোরের নজর গিয়ে আটকে যায় ঘরের কোণায় একটি তাকে।
তাকে নজর পড়তেই সে দেখে সেখানে রাখা রয়েছে একটি মদের বোতল। এরপর আর নিজেরে সংযত রেখে কেবল চুরিতে মন দিতে পারেনি সে।
লোভ রিপুর গ্রাসে চুরি ভুলে চোর তুলে নেয় ভর্তি মদের বোতলটি। তারপর আয়েশ করে শেষ করে পুরো বোতল। সকলের নজর এড়িয়ে চুরি করতে ঢোকা বাড়িতে বসে এক বোতল মদ খাওয়ার পর চুরির কথা মনেই ছিলনা তার।
বরং মদের নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে একটি সোফায় সটান হয়ে শুয়ে পড়ে ওই চোর। নেশার ঘোরে ঘুমের দেশে যেতে সময় লাগেনি।
সকালে ঘুম ভেঙে উঠে বাড়ির কর্তা কার্যত আঁতকে ওঠেন। তাঁর বাড়ির সোফায় শুয়ে আছে এক অপরিচিত ব্যক্তি। তখনই পুলিশে খবর দেন তিনি।
এদিকে এত কিছু হচ্ছে কিন্তু চোর বাবাজির ঘুম আর ভাঙে না। পুলিশ এসে তাকে টেনে তোলে ঘুম থেকে। তারপর পাকড়াও করে সোজা চালান করে লকআপে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার রঘুনাথপুর গ্রামে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা