মহিলা চিকিৎসকের আত্মহত্যা, পুলিশের ভূমিকার নিন্দায় সোচ্চার খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চিকিৎসক অর্চনা শর্মার মৃত্যুর ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছে বিরোধী বিজেপি। পাশাপাশি টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।
প্রসবের সময়ে এক অন্তঃসত্ত্বা তরুণীর হাসপাতালে মৃত্যু হয় গত সোমবার। এজন্য ওই তরুণীর পরিবারের সদস্য এবং গ্রামবাসীদের একাংশ চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করে সোচ্চার হন। পরিবার ও গ্রামবাসীদের ক্ষোভের জেরে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অর্চনা শর্মার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনে একটি মামলা রুজু করে পুলিশ।
এই ঘটনার পর অপমানিত ওই চিকিৎসক নিজের বাড়িতে আত্মঘাতী হন। একটি সুইসাইড নোটে তিনি জানিয়ে যান তিনি নির্দোষ।
চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর মরুরাজ্য জুড়ে ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও।
প্রসবের সময়ে অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে রাজ্যের লালসোট শহরের আনন্দ হাসপাতালে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলৌত ট্যুইট করে জানিয়েছেন চিকিৎসকদের ভগবানের চোখে দেখা হয়। প্রত্যেক চিকিৎসকই রোগীর প্রাণ বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। তাও কোনও দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটলে চিকিৎসকদের ঘাড়ে দোষ চাপানোটা ঠিক কাজ নয়।
এভাবে ভয় দেখানো হলে চিকিৎসকেরা কীভাবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করবেন গেহলৌত ট্যুইটে এই প্রসঙ্গ তুলে আরও বলেছেন কোভিড পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের অবদানের কথা মাথায় রাখা উচিত। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন গোটা ঘটনার তদন্ত হবে। দোষীরা পার পাবে না।
চিকিৎসক অর্চনা শর্মার মৃত্যুর ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজে। এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী পরসাদি লাল মীনা বলেছেন পুলিশ আধিকারিকদের একাংশের গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটেছে। যা অনভিপ্রেত। সুইসাইড নোট খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা গুলাবচন্দ কাটারিয়া বলেছেন অর্চনা শর্মার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করাটা সম্পূর্ণ ভুল পদক্ষেপ।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি সতীশ পুনিয়াও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি রাজস্থানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পুতুল বলে চিহ্নিত করেছেন। পাশাপাশি রাজ্যের চিকিৎসক মহলও ঘটনাটি নিয়ে প্রতিবাদে শামিল হয়। জয়পুরে চিকিৎসকেরা প্রতিবাদ মিছিল বার করেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা