নদীর তলায় পাথরে ঠোক্কর, তুলে আনতেই সামনে এল প্রাচীন ইতিহাস
নদীর জল কুলকুল করে বয়ে গেছে পাহাড়ের গা বেয়ে। সেই জলের তলা থেকে চলছিল বালি তোলার কাজ। সেই সময় একটি পাথরে স্থাপত্যের স্পর্শ পান শ্রমিকরা।
চারপাশ পাহাড় দিয়ে ঘেরা। তার মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে ঝিলম নদী। নীল আকাশ, সবুজ বনানী, পাহাড় আর ঝিলমের জল মিলেমিশে প্রকৃতিকে ছবির মত সুন্দর করে তুলেছে।
সেই ঝিলমের জলের তলায় জমে যাওয়া বালি তোলার কাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। সেই সময় একজন অনুভব করেন জলের তলায় কিছু একটা রয়েছে। কিন্তু কি রয়েছে তা জলের ওপর থেকে বোঝা যাচ্ছেনা।
অগত্যা শ্রমিকরা জলের তলায় ডুব দিয়ে দেখেন। বুঝতে পারেন একটি পাথরের স্থাপত্য লুকিয়ে আছে জলের তলায়। তাঁরা সেটিকে জলের তলা থেকে টেনে ওপরে তুলে আনেন। খবর দেন পুলিশেও।
দেখা যায় হাজার হাজার বছর ধরে জলের তলায় হারিয়ে যাওয়া স্থাপত্যটি সবুজ আর কালো পাথর দিয়ে তৈরি একটি ৩ মাথা বিষ্ণু মূর্তি। অপরূপ কারুকার্যে ভরা মূর্তিটি কিন্তু সম্পূর্ণ অবস্থায় নেই। মূর্তির কিছু কিছু অংশ অমিল। তবে তার প্রাচীনত্ব নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই।
পুলিশ নিজেদের জিম্মায় নেওয়ার পর মূর্তিটি তুলে দেয় মিউজিয়াম বিভাগের হাতে। পরীক্ষার পর বোঝা যায় সেটি ৯ শতাব্দীর তৈরি একটি বিষ্ণু মূর্তি। যার ঐতিহাসিক মূল্য অপরিসীম। কীভাবে তা ঝিলমের জলের তলায় গেল তা জানার চেষ্টা চলছে।
জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার পাহাড় ঘেরা কাকাপোরা এলাকায় ঝিলমের জলের তলা থেকে বালি তোলার সময় এটি উদ্ধার হয় গত বুধবার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা