একটা ইঞ্জেকশনের দাম ১৬ কোটি টাকা, সরকারের দ্বারস্থ দিশেহারা বাবা মা
দেড় বছরের শিশুটি এক বিরল রোগে আক্রান্ত। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন একটি ১৬ কোটি টাকা দামের ইঞ্জেকশন। যা পেতে সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন শিশুটির বাবা মা।
স্পাইনাল মাসকিউলার অ্যাট্রোফি টাইপ ১, এটাই সেই বিরল রোগের নাম। যাতে আক্রান্ত হয়ে এখন যমে মানুষে লড়াই চালাচ্ছে এক দেড় বছরের শিশু। অচেতন অবস্থায় সে ভর্তি রয়েছে জয়পুরের জেকে লোন হাসপাতালে।
শিশুটির শ্বাসের কষ্ট রয়েছে। শরীরে রক্ত কমে এসেছে। তানিষ্ক নামের ওই ছোট্ট শিশুটি আইসিইউ-তে চিকিৎসকদের কড়া পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
এদিকে তার যে বিরল রোগ ধরা পড়েছে তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন একটি জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন। যার দাম শুনে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তানিষ্কের বাবা মা। একটা ইঞ্জেকশনের দাম ১৬ কোটি টাকা! যা তাঁদের পক্ষে জোগাড় করা অসম্ভব।
তাঁদের সন্তানের অবস্থা সংকটজনক। যত দ্রুত সম্ভব ওই ইঞ্জেকশন দিতে হবে তাকে। এই পরিস্থিতিতে রাজস্থান সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন তানিষ্কের বাবা মা। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলৌতের সঙ্গে দেখাও করেছেন দিশেহারা পিতা। তাঁকে সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এখনও কোনও সাহায্য তাঁরা পাননি।
এমনকি সরকার উদ্যোগ নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এই অর্থ তোলার ব্যবস্থা করে দিক এটাও চাইছেন তানিষ্কের অভিভাবকরা। এই বিরল অসুখের চিকিৎসায় যে ইঞ্জেকশনটি লাগে তার ওপর সরকারের ৬ কোটি টাকা কর ছিল। তাও কিছুদিন আগে মকুব করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এখন তানিষ্ক লড়ছে জীবনের সঙ্গে। আর তার মা বাবা লড়াই চালাচ্ছেন সন্তানের শরীরে কত দ্রুত সম্ভব ওই বহুমূল্য ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা যায় তার জন্য। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা