১০০ গ্রামের মানুষ এখন সন্ধে নামলেই আকাশের তারা দেখে সময় কাটান
গ্রামে সন্ধে নামলে এখন টিভি দেখে বা গল্প করেও সময় কাটান অনেকে। কিন্তু ১০০টি এমন গ্রাম রয়েছে যেখানে সন্ধে নামলেই সকলে তারা দেখতে লেগে পড়েন।
গ্রামে এক সময় সন্ধে নামলেই মানুষ খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পড়তেন। আর কাকভোরে উঠে লেগে পড়তেন দৈনন্দিন কাজে। এখন অবশ্য টিভি এসেছে। মানুষ এখন সন্ধেটা গল্প করে, টিভি দেখে বা অন্য বিনোদনে কাটিয়ে দেন। তারপর রাত নামলে ঘুম।
কিন্তু ১০০টি এমন গ্রাম রয়েছে যেখানে মানুষ সন্ধে নামলেই এখন আকাশের তারা দেখতে লেগে পড়েন। তাও আবার যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে। কাছ থেকে তারা দেখার সুযোগ পেয়ে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই মজেছেন আকাশ দেখার আনন্দে।
উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের আশপাশে এমন ১০০টি গ্রাম রয়েছে যেখানে স্কুলগুলি বেছে নিয়ে সেখানে লাগানো হয়েছে শক্তিশালী টেলিস্কোপ। লাগানো হয়েছে স্পেকটোমিটার।
এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য মহাকাশ বিজ্ঞানে ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ বৃদ্ধি করা। তবে তার সঙ্গে যোগ করা হয়েছে সিটিজেন সায়েন্স-কে। এতে সাধারণ মানুষকে বিজ্ঞানের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেওয়া চেষ্টা হচ্ছে। তাঁদেরও বৈজ্ঞানিক বিষয় সম্বন্ধে অবহিত করা হচ্ছে।
তাই স্কুলে স্কুলে গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে তৈরি আকাশ পর্যবেক্ষণের যে টেলিস্কোপ বসানো হয়েছে তাতে চোখ রাখার সুযোগ পাচ্ছেন গ্রামের সকলেই। এত কাছ থেকে এত সুন্দর করে আকাশ দেখার আনন্দ তাঁরা চুটিয়ে উপভোগ করছেন।
টেলিস্কোপে নজর রাখাই নয়, অনেক চার্ট লাগানো হয়েছে চারপাশে যেখানে মহাকাশের অনেক খুঁটিনাটি তথ্যও দেওয়া হয়েছে। যাতে যা দেখছেন তা বুঝতে অসুবিধা না হয়।
সেইসঙ্গে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের থেকে বেছে নিয়ে কয়েকজন বিজ্ঞান মনস্ক ছাত্রছাত্রীকে গাইড হিসাবে রাখা হয়েছে। আকাশে কোনও কিছু দেখে বুঝতে অসুবিধা হলে তারাই তা বুঝিয়ে দিচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা