জঙ্গিদের গুলি থেকে ৭ জন মানুষের জীবন তিনি বাঁচাতে পারেননি। কিন্তু বাঁচিয়ে দিয়েছেন ৫০ জন তীর্থযাত্রীর জীবন। জঙ্গিরা যখন গুলি চালাতে শুরু করে তখন সেই অবস্থাতেও মাথা ঠান্ডা রেখেছিলেন বাস চালক শেখ সেলিম। আতঙ্কে বাসের যাত্রীরা চিৎকার করছেন। চারদিক থেকে গুলি ছুটে আসছিল। পাংচার হয়ে গিয়েছিল একটি চাকাও। তারমধ্যেও বাস থামাননি তিনি। যত দ্রুত সম্ভব চালাতে থাকেন বাসটা। এমনভাবে প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা বাসটাকে টেনে নিয়ে যান। তারপর একটি সেনা চৌকি দেখে থামেন।
সেলিম জানিয়েছেন, সেই সময় তাঁকে ঈশ্বর শক্তি যোগাচ্ছিলেন। সকলেই মেনে নিচ্ছেন সেই সময়ে সেলিম বাস থামালে আরও বড়ধরণের ঘটনা ঘটতে পারত। এমনকি পুণ্যার্থীদের পণবন্দিও করতে পারত জঙ্গিরা। এদিন গুজরাট সরকারের তরফে ব্রেভারি অ্যাওয়ার্ডের জন্য সেলিমের নাম প্রস্তাব করা হবে বলে জানানো হয়েছে। পুণ্যার্থীরাও সকলে একবাক্যে মেনে নিচ্ছেন, আরও বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন সেলিম।