মোবাইল, চশমা, মানিব্যাগ ফেরত পেতে বাঁদরদের দিতে হচ্ছে বিশেষ নজরানা
বেড়াতে গেলে চশমা, মোবাইল, মানিব্যাগ, ব্যাগ সবই খুব সাবধানে রাখতে হবে। নাহলে তা ছোঁ মেরে নিয়ে নিতে পারে বাঁদরের দল। এরপর বিশেষ নজরানা দিলে তবে ফেরত।
ভারতের অন্যতম প্রধান তীর্থক্ষেত্রের তালিকায় অবশ্যই এই শহর পড়ছে। শ্রীকৃষ্ণের লীলাক্ষেত্রে সারাবছর ভক্তের ঢল লেগে থাকে। শহর জুড়ে নানা মন্দির। এই শহরে কিন্তু একটু সাবধানে চলতে হবে মানুষজনকে। কারণ স্থানীয় মানুষই রেহাই পান না বাঁদরের উপদ্রব থেকে তো পর্যটকদের জন্য তো সবই অজানা।
বৃন্দাবনে বাঁদরদের উৎপাতের কথা নতুন নয়। এখন তারা আবার ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া জিনিস ফেরত দেওয়ার জন্য বিশেষ নজরানায় মজেছে।
কেউ হয়তো রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন কানে মোবাইল নিয়ে। যে কোনও মুহুর্তে তা ছিনিয়ে নিতে পারে বাঁদর। তারপর হয় মোবাইলটা চিবোবে, নয়তো মোবাইল অনেক উঁচু থেকে ছুঁড়ে দেবে। তবে ফ্রুটি নামক পানীয় কিনে তাদের দিলে মোবাইলটা ফেরত পেলেও পেতে পারেন।
একইভাবে বাঁদররা কখনও চোখ থেকে খুলে নিয়ে যাচ্ছে চশমা। কখনও কাঁধ থেকে ব্যাগ। কখনও বাজারের প্যাকেট তো কখনও দোকানে ঝোলানো পোশাক। কি যে নিয়ে পালাবে তা বোঝা মুশকিল। তবে বৃন্দাবনে বাঁদররা এখন মজেছে ফ্রুটিতে।
প্রশ্ন হল উপদ্রব থেকে বাঁচতে বা ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া জিনিস ফেরত পেতে ফ্রুটিই কেন? প্রবল গরমের কারণেই কী ফ্রুটিতে মজেছে বাঁদররা? নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে? সব ছেড়ে একটি বিশেষ ব্র্যান্ডই কেন তাও বোঝা দায় হচ্ছে।
তবে বৃন্দাবনে যদি বাঁদররা কিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায় তাহলে তা অক্ষত অবস্থায় ফিরে পেতে বা তা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হিসাবে ফেরত পেতে ভরসা ওই সামান্য ফ্রুটিই।
গোটা শহরটা বাঁদরদের এই কাণ্ডে বিরক্ত। দোকানিরা বিরক্ত তাঁদের মালপত্র নিয়ে চলে যাচ্ছে বলে, সাধারণ মানুষ বিরক্ত হাতে ঝোলানো বাজার থেকে চশমা, ব্যাগ, মোবাইল, মানিব্যাগ নিয়ে যাওয়ার জন্য।
মানিব্যাগ নিয়ে গিয়ে তার থেকে একটা একটা করে নোট বার করে ছিঁড়ে ফেলে দিচ্ছে বাঁদররা, এমন উদাহরণও রয়েছে। সব মিলিয়ে ক্ষুব্ধ, বিরক্ত বৃন্দাবনের মানুষ, হতবাক পর্যটকরা। আপাতত এর সুরাহার জন্য সকলেই তাকিয়ে আছেন প্রশাসনিক পদক্ষেপের দিকে। — তথ্য ও চিত্র – কামাখ্যাপ্রসাদ লাহা