সকলের সামনে ৬০ ফুটের লোহার ব্রিজ খুলে নিয়ে পালাল চোরেরা
এও সম্ভব! একটা চওড়া খালের ওপর তৈরি ৬০ ফুটের লোহার ব্রিজ প্রকাশ্য দিবালোকে চুরি হয়ে গেল। তাও আবার সকলের সামনে চুবি করে পালাল চোরেরা।
১৯৭২ সালে তৈরি করা হয় একটি লোহার ব্রিজ। আরা খালের ওপর তৈরি হয় ৬০ ফুট লম্বা আর ১২ ফুট উঁচু এই ব্রিজ। যা এতদিন ধরে খাল পারাপারের জন্য ব্যবহার করেছেন সকলে।
সম্প্রতি ওই ব্রিজের পাশেই একটি কংক্রিটের ব্রিজ তৈরি করা হয়েছিল। এই লোহার ব্রিজটিকে বিপজ্জনক বলেও ঘোষণা করা হয়। ফলে কেউ আর ওই ব্রিজটি ব্যবহার না করে পাশের কংক্রিটের ব্রিজটি ব্যবহার করতেন।
সম্প্রতি কয়েকজন হাজির হয় ব্রিজের কাছে। জানায় তারা সেচ দফতরের আধিকারিক। এসেছে পরিত্যক্ত ওই ব্রিজটি খুলে ফেলতে।
এজন্য তারা সঙ্গে যেমন লোকজন এনেছিল, তেমনই তারা স্থানীয় সেচ দফতরের কর্মীদেরও ডেকে পাঠায়। এমনকি আশপাশের গ্রামের মানুষজনকেও শামিল করে ব্রিজটি খুলে ফেলার কাজে।
এদের হাবভাব দেখে কারও মনে হয়নি যে এরা রাজ্য সেচ দফতরের আধিকারিক নয়। শুরু হয় সকলের সামনেই গ্যাস কাটার দিয়ে ব্রিজ কেটে ফেলার কাজ।
তারপর স্থানীয় সেচ দফতর ও গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় ব্রিজটি পুরো কেটে ফেলে সেই কাটা লোহার অংশগুলি নিয়ে এলাকা ছাড়ে ওই সেচ দফতরের নকল আধিকারিকরা।
কিছু পরে স্থানীয় সেচ দফতরের কর্মীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা খবর নিয়ে জানতে পারেন এমন কোনও আধিকারিক রাজ্য সেচ দফতর থেকে পাঠানো হয়নি। ব্রিজ কেটে ফেলারও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সকলেই বুঝতে পারেন কীভাবে তাঁদের বোকা বানিয়ে চোররা আস্ত একটা ৬০ ফুটের ব্রিজ তাঁদেরই সাহায্য নিয়ে চুরি করে নিয়ে গেল।
পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় যে লোহালক্কড় বিক্রির জায়গাগুলি রয়েছে তাদেরও সতর্ক করা হয়েছে। কেউ ব্রিজের অংশ বিক্রি করতে এলে তারা যেন পুলিশে খবর দেয় তাও জানানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের রোহতাস জেলার নাসরিগঞ্জে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা