সরকারি কর্মীদের দুপুরের খাওয়ার সময় কমল
অনেক সময় সরকারি কোনও অফিসে কাজে গেলে দুপুরে শুনতে হয় আধিকারিক লাঞ্চে গেছেন। এ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ সামনে আসার পর এবার পদক্ষেপ করল এক রাজ্য।
সরকারি কর্মীরা দুপুরের খাবারের নামে কার্যত প্রায় পুরো দুপুরটাই কাটিয়ে দিচ্ছেন। এই অভিযোগ উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের তরফ থেকে আসছিল। সাধারণ মানুষও নাজেহাল হয়ে গিয়েছিলেন সরকারি কর্মীদের এই ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাঞ্চ নিয়ে।
অভিযোগ ছিল যে দুপুর দেড়টার সময় লাঞ্চ বলে কাজে বিরতি নিচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। তারপর এঁদের একটা অংশের কখনও সেই খাবার খেতে সময় লাগছে দেড় ঘণ্টা, কখনও ২ ঘণ্টা। কখনও তারও বেশি।
সরকারি আধিকারিকরাই বারবার অভিযোগ করছিলেন যে অধস্তন কর্মীরা দেড়টার সময় খেতে গিয়ে বিকেল ৪টেয় ফের কাজে বসছেন। আড়াই ঘণ্টা ধরে চলছে তাঁদের এই লাঞ্চ পর্ব।
শুধু সরকারি কর্মীরা নন, এমন লাঞ্চে অভ্যস্ত অনেক আধিকারিকও। অভিযোগ যে এমনও আধিকারিক রয়েছেন যাঁরা লাঞ্চে বাড়ি চলে যান। তারপর অফিসে ফেরেন সেই বিকেলে।
সাধারণ মানুষও পরিষেবা পেতে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছিলেন এই লাঞ্চের বহরে। এবার সেখানেই দাঁড়ি টেনে দিল উত্তরপ্রদেশের বুলডোজার সরকার।
নানা বিভাগ থেকে এই অভিযোগ আসতে থাকার পর এবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পদক্ষেপ করলেন। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি কর্মীরা ৩০ মিনিট লাঞ্চের জন্য পাবেন। এর বেশি ১ মিনিটও নয়।
নিজের বাসভবনে একটি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দুপুরের খাবারের জন্য ৩০ মিনিটই সময় পাবেন সরকারি কর্মীরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা