সূর্যের আলো কেড়ে বুদ্ধিমান রিক্সা বানালেন অধ্যাপক
এও এক উদ্ভাবনী। যার জেরে এক নতুন রিক্সার জন্ম দিলেন এক অধ্যাপক। যার সত্ত্বও নিজের আয়ত্তে রেখেছেন তিনি। আগামী দিনকে এক নতুন দিশাও দিল এই রিক্সা।
প্রথমে হাতে টানা রিক্সা। তারপর সাইকেল রিক্সা। এরপর ই-রিক্সা। রিক্সা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার রূপ বদল করেছে। এবার আসতে চলেছে এমন এক ই-রিক্সা যা বুদ্ধিমানও বটে!
এই নতুন রিক্সার জন্ম দিয়েছেন এক ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অধ্যাপক। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের এই নতুন রিক্সাকেই আগামী দিনের রিক্সা বলে মনে করা হচ্ছে।
রিক্সাটি বুদ্ধিমান কেন? এই ই-রিক্সা কিন্তু চলছে সূর্যের রশ্মি কেড়ে নিয়ে। এতে রয়েছে সোলার প্যানেল। যা এই রিক্সাগুলিকে চালাতে সাহায্য করছে। সূর্যের আলো থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ পেয়ে যাচ্ছে রিক্সায় লাগানো যন্ত্র। তা দিয়ে রিক্সা চলছে।
এখানেই শেষ নয়। সোলার প্যানেলে তো রিক্সা চলতে শুরু করল। এবার সওয়ারি নিয়ে সে গন্তব্যের দিকে এগোতে গিয়েও যে কোনও সময় দেখা যেতে পারে চালক অন্য পথে বা ঘুর পথে সওয়ারিকে গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
তারপরও কারণ রয়েছে। এই রিক্সাগুলিতে থাকছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আগে থেকেই ট্রাফিকের হাল জানার ব্যবস্থা। যে রুটে সে যেতে চায় সেই রুটের কোথাও যদি যানজট থাকে তাহলে সেখানে পৌঁছনোর আগেই রিক্সাচালক তা জেনে যাবেন। ফলে সেই পর্যন্ত না গিয়ে অন্য পথে যাত্রীকে গন্তব্যে সহজে পৌঁছে দেবেন তিনি।
আগ্রার রাস্তায় ইতিমধ্যেই নেমেছে এই রিক্সা। যে অধ্যাপক এই ই-রিক্সার উদ্ভাবন করেছেন সেই মহম্মদ তারিক ইতিমধ্যেই এই রিক্সার সত্ত্ব নিজের নামে করিয়ে নিয়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা