জঙ্গিহানায় নিহত ৭ অমরনাথ যাত্রীর ৫ জনই গুজরাটের। এছাড়া আহতদের মধ্যেও গুজরাটের অনেক বাসিন্দা রয়েছেন। তাঁদের এদিন সুরাটে উড়িয়ে আনা হয়। নিয়ে আসা হয় ৫ জনের দেহ। বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। এদিন নিহতদের পরিবার ও আহতদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আলাদা করে কথা বলে ভূয়সী প্রশংসা করেন বাসের চালক শেখ সেলিমের। এদিকে এদিন সকাল থেকেই দিল্লিতে ব্যস্ততা ছিল চরমে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং অমরনাথ যাত্রীদের ওপর জঙ্গিহানার ঘটনা নিয়ে নিজ বাসভবনে বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।
এদিকে অনন্তনাগের ঘটনাকে কেন্দ্রের ব্যর্থতা বলেই ব্যাখ্যা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, কেন্দ্র অন্য জায়গায় আগুন লাগিয়ে বেড়াচ্ছে, আর অমরনাথ যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে পারছে না। নিরাপত্তায় ভয়াবহ গলদ ছিল বলে দাবি করে খোদ প্রধানমন্ত্রীকেই এদিন নিশানা করেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী। ট্যুইটে তিনি দাবি করেন, এই ঘটনার দায় প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া উচিত। আগামী দিনে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সেদিকেও তাঁর নজর রাখা উচিত। যদিও পাল্টা বিজেপির তরফে এমন ঘটনা নিয়ে রাহুল গান্ধীকে রাজনীতি না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদিও রাহুল গান্ধীকে চুপ করানোর চেষ্টা করলেও অন্দরমহলেই অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। খোদ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এই ঘটনার জন্য একাধারে কেন্দ্র ও জম্মু কাশ্মীর সরকারের দিকে আঙুল তুলেছে। অন্যদিকে শিবসেনা এর যোগ্য জবাব দেওয়া উচিত বলেই কেন্দ্রকে পরামর্শ দিয়েছে।