দশম শ্রেণির ছাত্রদের খানাপিনা দেখে চোখ কপালে প্রশাসনের
স্থানীয় প্রশাসনের অনেক তাবড় আধিকারিকের চোখ কপালে উঠেছে একটি ছাত্র হস্টেলে দশম শ্রেণির ছাত্রদের পার্টি করা দেখে। যা এখন রীতিমত চর্চার বিষয়।
আবাসিক স্কুলে থেকে পড়াই নিয়ম। যদিও স্কুলটির যথেষ্ট নিজস্ব হস্টেলের সমস্যা থাকায় বাড়ি ভাড়া করে ছাত্রদের হস্টেল তৈরি করা হয়েছে। সেই ভাড়া বাড়ির হস্টেল আবার ঘিঞ্জি জনবহুল এলাকায়।
হস্টেলেরই একটি ঘরে চলছিল দশম শ্রেণির কয়েক জন ছাত্রের পার্টি। স্কুলে গরমের ছুটি পড়ে যাচ্ছে। তাই যে যার বাড়ি ফিরবে। ফের স্কুল খুললে দেখা হবে।
তাই রাত্রে তারা একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করবে বলে স্থির করে। বিষয়টি জানায় ওয়ার্ডেনকে। তিনি না করেননি। কিন্তু সেই খানার সঙ্গে পিনাটা হয়তো ওয়ার্ডেনের জানা ছিলনা।
ছাত্ররা সেদিন তাদের হস্টেলের একটি ঘরের মেঝেতে বসে চিকেন বিরিয়ানির আয়োজন করেছিল। আর সেই বিরিয়ানির সঙ্গে সঙ্গত দিতে লুকিয়ে আনিয়েছিল বিয়ার।
প্রতিটি ছাত্রের বিরিয়ানির প্লেটের সামনে রাখা ছিল একটি করে বিয়ারের বোতল। সগর্বে সেই পার্টি করার ছবিও মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করে কয়েকজন ছাত্র। তারপর তা পাঠিয়ে দেয় তাদের বন্ধুদের কয়েকজনের কাছে।
সেখান থেকেই ছাত্রদের হস্টেলে বসে বিয়ার সহযোগে বিরিয়ানি খাওয়ার ছবি ছড়িয়ে পড়ে। যা পৌঁছয় স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছেও। তাঁরা বিষয়টি দেখার পরই নড়েচড়ে বসেন।
ওয়ার্ডেনকেই এ জন্য দায়ী করছেন সকলে। তিনি তাঁর কাজ সঠিকভাবে করতে পারেননি। নাহলে তাঁর হস্টেলে বসে দশম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্র বিয়ার আনিয়ে পান করল!
এসব বিয়ার তারা তাদের স্থানীয় কয়েকজন বন্ধুদের দিয়ে আনায় বলেই জানা গেছে। পুরো বিষয়টি এখন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার ম্যাঞ্চেরিয়াল জেলায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা