আধার কার্ডে লেখা মধুর পঞ্চম সন্তান, ভর্তি নিল না স্কুল
আধার কার্ডের জন্য স্কুলে ভর্তি হতে পারল না এক শিশু। প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি করাতে নিয়ে গিয়েও মেয়েকে ফেরত আনতে হল বাবাকে।
দেশে স্কুল ছুট কমাতে উদ্যোগী প্রশাসন। বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও, এখন কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম স্লোগান। মেয়েদের পড়ানোর বিষয়ে জোর দিচ্ছে রাজ্যসরকারও। অভিভাবকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে যাতে তাঁরা তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠান।
এই অবস্থায় এক প্রাথমিক স্কুলে মেয়েকে ভর্তি করতে নিয়ে গিয়েও ফিরে আসতে হল বাবাকে। স্কুল ওই স্কুলে ভর্তি হতে ইচ্ছুক ছোট্ট মেয়েটাকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করল।
যেখানে সরকার চাইছে মেয়েরা স্কুলে আসুক, সেখানে একটি মেয়েকে প্রাথমিকে ভর্তি নেওয়া হল না কেন? উত্তর দিয়েছে তার আধার কার্ড।
স্কুলটিতে ভর্তি করাতে মেয়েকে নিয়ে হাজির হন তার বাবা। মেয়ের হাত ধরে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার কাছে যান। তিনি ওই ছোট্ট মেয়েটির বাবাকে ভর্তি করানোর জন্য আধার কার্ড দেখাতে বলেন।
মেয়ের আধার কার্ড এগিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। যা দেখে চোখ কপালে ওঠে ওই শিক্ষিকার। আধার কার্ডে নামের জায়গায় লেখা মধুর পঞ্চম সন্তান!
এমনকি আধার নম্বরও নেই কার্ডটিতে। এমন আধার কার্ড তো বৈধ নয়। অগত্যা শিক্ষিকা কার্যত নিরুপায় হয়ে মেয়েটির বাবাকে বলেন আধার কার্ড ঠিক করে আনতে।
উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলার রায়পুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। কীভাবে এমনটা সম্ভব হল? বিষয়টি সামনে আসতে স্থানীয় প্রশাসনও নড়েচড়ে বসেছে।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, আরতি নামে ওই শিশুটির আধার কার্ড কারা তৈরি করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা এই কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত তাদের ছাড়া হবেনা বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।